অনলাইনে বিয়ে করা কি জায়েজ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আপনি কি অনলাইনে বিয়ে করা কি জায়েজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তাহলে আজকে আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কেননা আমার আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় হলো অনলাইনে বিয়ে করা কি জায়েজ এ সম্পর্কে বিস্তারিত। তো চলুন আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে শুরু করা যায়।

অনলাইনে বিয়ে করা কি জায়েজ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
আমার এই পোস্টটি আপনি শেষ পর্যন্ত পড়লে আরো জানতে পারবেন ভিডিও কলে বিবাহ কি জায়েজ এবং কোন বিয়ে কবুল হয় না এ সম্পর্কে বিস্তারিত। তাই শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।

পেজ সূচিপত্রঃঅনলাইনে বিয়ে করা কি জায়েজ এ সম্পর্কে বিস্তারিত

অনলাইনে বিয়ে করা কি জায়েজ 

আমাদের বর্তমানে সবাই তথ্য প্রযুক্তি উপরে নির্ভরশীল। এই তথ্য প্রযুক্তি আমাদের পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে। এক স্থানে বসে সে যে কোন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব। বর্তমানে দেখা যায় অনলাইনে বিয়ে ভিডিও কলের মাধ্যমে। তবে অনেকের হয়তো জানা নেই অনলাইনে বিয়ে করা কি জায়েজ। তাই আমি আজকে আপনাদের জানাবো অনলাইনে বিয়ে করা কি জায়েজ এ সম্পর্কে বিস্তারিত। তবে তার আগে আপনাকে জানাবো বিবাহের আইনের এবং ইসলামের শরীয়তের শর্ত গুলোঃ
  • বিবাহের জন্য যদি উভয়পক্ষর সম্মতি থাকে তাহলে তা বৈধ হবে।
  • বিবাহের জন্য একপক্ষ প্রস্তাব দিবে এবং অপর পক্ষ গ্রহণ করিবে সাক্ষীদের সামনে।
  • সাক্ষীর জন্য দুজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ তা যদি না হয় দুজন প্রাপ্তবয়স্কের নারী এবং একটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ থাকতে হবে।
  • আরেকটি মূল বিষয় হলো দেনমোহর। এটা স্ত্রীর হোক একজন দিনদান স্বামীকে এই হক আদায় করতে হবে।
  • সাক্ষীদের সামনে একটি বৈঠকে উচ্চ স্পষ্ট ভাবে পাত্রী এবং পাত্রের সম্মতি গ্রহণ করতে হবে।
প্রিয় পাঠক আশা করি বুঝতে পেরেছেন বিবাহের আইনের এবং ইসলামের শরীয়তের শর্ত গুলো। তবে আপনি যদি অনলাইনে ভিডিও কলের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানটি করতে চান তাহলে তা পরিপূর্ণতা পাবে না সে অনুসারে বিবাহ পরিপূর্ণ হবে না। তবে আমাদের দেশের কিছু আলেম-ওলামাগণ বলেছেন যদি দুই পক্ষেরই বিবাহ জন্য রাজি হয় এবং ইসলামের শরীয়ত অনুযায়ী সকল শর্ত মেনে ভিডিও কলের মাধ্যমে বিবাহ করে তাহলে তা বৈধ এবং জায়েজ রয়েছে।
অপরদিকে কিছু আলেম-ওলামাগণ মনে করেন যেহেতু এটা ভিডিও কলের মাধ্যমে দুজন দুজনার দুরুত্বতা অনেক সে অনুসারে একজনের সাথে আরেক জনের মনের অন্তমিল এবং বিবাহের যে আনন্দটা তা প্রকাশ পায় না। সে কারণে তারা মনে করেন এটা বৈধ নয়। তবে আপনি যদি উপরুক্ত শর্ত অনুসরণ করে দুই পক্ষের সাক্ষী সামনে নিয়ে পাত্র এবং পাত্রীর পর্যাপ্ত পরিমাণ বয়স হলে অনলাইনে বিয়ে করতে পারেন। এতে তেমন কোনো ঝামেলা হবে না আইনগতভাবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন অনলাইনে বিয়ে করা কি জায়েজ।

ভিডিও কলে বিবাহ কি জায়েজ

প্রিয় পাঠক আপনি যদি জানতে চান ভিডিও কলে বিবাহ কি জায়েজ। তাহলে আমার এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। সাধারণত ভাবে ভিডিও কলে উভয় পক্ষের প্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষীদের সামনে একটি নির্দিষ্ট সময়ে একপক্ষ বিবাহের জন্য প্রস্তাব প্রদান এবং অপরপক্ষে সাক্ষীদের সামনে প্রস্তাবটি গ্রহণ করে তার পাশাপাশি বাড়িতে যদি আনুষ্ঠানিকভাবে শর্ত অনুসারে নিয়মগুলো পালন করে তাহলে ভিডিও কলে বিবাহ জায়েজ রয়েছে মনে করেন অনেক আলেম-ওলামাগণরা। আশা করি বুঝতে পেরেছেন ভিডিও কলে বিবাহ কি জায়েজ।

কোন বিয়ে কবুল হয় না

একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের সম্মতিতে আইনগতভাবে যদি বিবাহ করেন তবে তা বৈধ রয়েছে। তবে ইসলামের শরীয়ত অনুযায়ী ইসলামের সকল শর্ত অনুসরণ করে বিবাহ করলে তা পরিপূর্ণতা পায়। আপনার যদি আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ করার অর্থ সম্ভব না থাকে তাহলে প্রাপ্তবয়স্ক দুইজন পুরুষ কিংবা দুইজন মহিলা একজন পুরুষ। ছেলে এবং মেয়ের বাবা-মা সম্মতি বিবাহ করতে পারেন এই বিবাহ কবুল হবে। তবে কোনো মহিলা তার অভিভাবক বাবা-মার অবাধ্যে যদি বিবাহ করে তাহলে তা ইসলামের শরীয়ত অনুযায়ী কবুল হবে না।

ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ের নিয়ম

আমাদের মুসলমানদের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা একজন পুরুষ এবং একজন মহিলার প্রাপ্তবয়স্ক হলে তার জন্য বিবাহ ফরজ করেছে। বিবাহ হল ইসলামের শরীয়তে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। ত চলুন বিস্তারিত জেনে নিন ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ের নিয়মঃ
  • বিবাহের জন্য একপক্ষ প্রস্তাব দিবে এবং অপর পক্ষ গ্রহণ করিবে সাক্ষীদের সামনে।
  • বিবাহের জন্য যদি উভয়পক্ষর সম্মতি থাকে তাহলে তা বৈধ হবে।
  • বিবাহের জন্য ছেলে এবং মেয়ের বাবা-মা যদি সম্মতি না থাকে তাহলে সে বিয়ে কবুল হবে না।
  • সাক্ষীর জন্য দুজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ তা যদি না হয় দুজন প্রাপ্তবয়স্কের নারী এবং একটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ থাকতে হবে।
  • আরেকটি মূল বিষয় হলো দেনমোহর। এটা স্ত্রীর হোক একজন দিনদান স্বামীকে এই হক আদায় করতে হবে।
  • সাক্ষীদের সামনে একটি বৈঠকে উচ্চ স্পষ্ট ভাবে পাত্রী এবং পাত্রের সম্মতি গ্রহণ করতে হবে।

শেষকথা-অনলাইনে বিয়ে করা কি জায়েজ

প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষণ পড়ছিলেন অনলাইনে বিয়ে করা কি জায়েজ এ সম্পর্কে বিস্তারিত। আশা করি আমার আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনার উপকারে আসবে। আপনার যদি এ পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করতে পারেন। আর যদি নতুন কোন বিষয়ে তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
কেননা আমার এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন তথ্য প্রযুক্তি, লাইফ স্টাইল, শিক্ষা, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা, আইন কানুন, প্রবাসী তথ্য ও ইসলামিক বিষয় নিয়ে বাংলা ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল লেখা হয়। আপনি যদি প্রতিদিন এমন তথ্য পেতে চান তাহলে চোখ রাখুন আমার এই টিপস পাবলিক ওয়েবসাইটে। এতক্ষণ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

1 thought on “অনলাইনে বিয়ে করা কি জায়েজ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন”

Leave a Comment