ইসলামে মাসিকের কতদিন পর সহবাস করা যায় বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক আপনি কি ইসলামে মাসিকের কতদিন পর সহবাস করা যায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমার আজকের এই আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন। কেননা আমার আজকের এই আর্টিকেলের মূল বিষয় হলো ইসলামে মাসিকের কতদিন পর সহবাস করা যায় নিয়ে বিস্তারিত। ত চলুন আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে শুরু করা যাক ইসলামে মাসিকের কতদিন পর সহবাস করা যায়।

মাসিকের কতদিন পর সহবাস করা যায়
আমার এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আরো জানতে পারবেন মেয়েদের মাসিক হলে কি রোজা করা যাবে এবং মাসিক হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তা নিয়ে বিস্তারিত। তাই শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো।

পেজ সূচিপত্রঃইসলামে মাসিকের কতদিন পর সহবাস করা যায়

ইসলামে মাসিকের কতদিন পর সহবাস করা যায়

মেয়েদের স্বাভাবিক বয়স হওয়ার পর থেকে তাদের সু-স্বাস্থ্যর জন্য মাসিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিবাহের পরে এই মাসিক হওয়ার কারণে স্বামী স্ত্রীর ভেতরে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তাই আমি আজকে আপনাদের জানাবো ইসলামে মাসিকের কতদিন পর সহবাস করা যায় এই নিয়ে বিস্তারিত। মহান আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন মেয়েদের মাসিক শুরু হওয়া থেকে মাসিক শেষ না হওয়া পর্যন্ত সহবাস করা হারাম করেছেন।
স্ত্রীর মাসিক হওয়ার পর স্বামী তার স্ত্রীর নাভি থেকে হাটু পর্যন্ত স্পর্শ করে লজ্জাত হাসিল করতে পারবে না। মাসিক অবস্থায় স্বামী স্ত্রী তাদের শারিরীক চাহিদা মেটাতে পারবে না। তবে তারা চুম্বন করতে পারবে। মাসিক এর সময় স্ত্রীর সহবাসের জন্য অনুরোধ বা রাজি থাকলে সে সময় স্বামীকে তার স্ত্রীকে বোঝাইতে হবে। কেননা মাসিক এর সময় সহবাস করা আল্লাহ তায়ালা হারাম করেছেন এবং এই সময় সহবাস করলে শারিরীক ভাবে অনেকটা ক্ষতি হয়।
তাই মাসিক এর সময় স্ত্রীর চাহিদা মেটানোর জন্য যদি তারা সহবাস করে তাহলে তাদের দুজনেরই গুনাহ হবে। সাধারণ মেয়েদের মাসিক ৭ থেকে ১০ দিনের ভেতরে ঠিক হয়ে যায়। ত মাসিক ঠিক হওয়ার পরে স্ত্রী গোশল করার পর থেকে তারা সহবাস করতে পারবে। তার মানে মাসিক শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা কোনো সহবাস করতে পারবেনা। মাসিক ঠিক হওয়ার পর গোশল দিলে তিনি পবিত্র হবেন তখন থেকে আবার সহবাস করতে পারবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন ইসলামে মাসিকের কতদিন পর সহবাস করা যায়.

সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয়

সাধারণ ত মেয়েদের নিদিষ্ট একটি তারিখে প্রতিমাসে মাসিক শুরু হয়। মাঝে মাঝে ২-৩ দিন আগে পরে হতে পারে। তবে যদি ৭ দিনের বেশি দেরি হয়ে যায় মাসিক না হওয়া। তাহলে তাদেরকে ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে। তবে সহবাসে পর আপনার পেটে সন্তান আসলে মাসিক বন্ধ হয়ে যাবে। এই জন্য আপনি যদি বিবাহিত হন তাহলে সহবাসের পর যে মাসে আপনার মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে। সে মাসে মাসিকের তারিখ থেকে ১০ দিন পর আপনি প্রেগন্যান্টসি টেস্ট করে নিবেন।
আপনার মাসিক যদি অনিয়মিত ভাবে হয় তাহলে আপনি প্রেগন্যান্টসি টেস্ট করে নিতে পারেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয় কি। মাসিক বন্ধ হলেই যে আপনি প্রেগন্যান্ট বিষয়টি এমন নয়। মাঝে মাঝে মাসিক এর তারিখ পরিবর্তন হতে পারে। তবে এমন টেনশন না করে আপনি বাড়িতে বসে প্রেগন্যান্টসি টেস্ট করে নিবেন।

মেয়েদের মাসিক হলে কি রোজা করা যাবে

মেয়েদের মাসিক একটি সাধারণ প্রক্রিয়া। মেয়েদের সাধারণ এটা তাদের বয়সন্ধিকাল থেকে শুরু হয় এই মাসিক এর চক্র। এটা একটি নিদিষ্ট তারিখে নিয়ে শুরু হয় প্রতি মাসে। সাধারণ মেয়েদের এই মাসিক এর বিষয়টি অনেক মেয়ে লজ্জিত থাকে। আবার অনেকে ভয় পায়। তবে এটা নিয়ে লজ্জা বা ভয় এর কোনো কারণ নেই। মাসিক শুরু হওয়ার সাধারণ ৭ থেকে ১০ দিনের ভেতরে ঠিক হয়ে যায়। তবে এই ১০ দিন মেয়েরা নাপাক অবস্থাতে থাকে।
সেজন্য আল্লাহ তায়ালা মাসিক এর সময় নামাজ পড়া বা রোজা রাখা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে মাসিক হলে কি রোজা করা যাবে কি না। উত্তর হলো মাসিক হলে রোজা করা যাবে না। তবে তাকে মনে রাখতে হবে এই সমস্যার জন্য কয়টি রোজা বাদ পড়লো পরে সেই রোজা গুলো তাকে কাজা করতে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন মেয়েদের মাসিক হলে কি রোজা করা যাবে সম্পর্কে বিস্তারিত।

মাসিকের সময় সহবাস করা যাই কি না

প্রিয় পাঠক আপনাদের যারা বিবাহিত তারা অনেকেই এমন সমস্যাতে ভোগেন যে মাসিকের সময় সহবাস করা যাই কি না কিংবা মাসিকের সময় সহবাস করলে শারিরীক ভাবে কোনো সমস্যা হয় কি না। তাই আমার আজকের এই আর্টিকেলে এখন আপনাদের মাঝে আলোচনা করবো মাসিকের সময় সহবাস করা যাই কি না এ সম্পর্কে বিস্তারিত। বিবাহের পরে স্বামী স্ত্রী তাদের শারিরীক চাহিদা মেটানোর জন্য সহবাস করে এটা আল্লাহর প্রাকৃতিক নিয়মে চলে আসছে।
তবে বিবাহের পর স্ত্রীর যদি মাসিক হয় তাহলে তখন থেকে মাসিক ভালো না হওয়া পর্যন্ত সহবাদ করতে নিষেধ করেছেন।মেয়েদের মাসিক এর সময় সহবাস করলে গুনাহ হয়। তবে স্বামীর সহবাসের চাহিদা বা স্ত্রীর সহবাসের চাহিদা হলে তা পূরণ করার জন্য যদি সহবাস করে তাহলে তাদের দুজনের গুনাহ হবে। তাই স্ত্রীর মাসিক হলে মাসিক ঠিক হওয়ার পর সে গোশল দিয়ে পবিত্র হয়ে তার পর স্বামী স্ত্রী এক সাথে সহবাস করতে পারবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন মাসিকের সময় সহবাস করা যাই কি না এই সম্পর্কে বিস্তারিত।

মাসিক হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে

মেয়েদের মাসিক যদি নিয়মিত ভাবে হয় তাহলে এটা নিয়ে তেমন চিন্তার কারণ নেই। তবে যদি মাসিক আগের মতো নিয়মিত ভাবে না হয় তাহলে এটা নিয়ে চিন্তার কারণ রয়েছে। মেয়েদের সাধারণত প্রতিমাসে একটি নিদিষ্ট সময়ে মাসিকের চক্র শুরু হয়। তবে মেয়েরা যদি প্রেগন্যান্ট হয় তাহলে তাদের মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। মাসিকের সময় যদি আপনার আগের তুলনায় হালকা পরিমাণ রক্ত পাত হয়ে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।
তাহলে এটা নিয়ে আপনি অবহেলা করবেন না। এটা গর্ভধারণের লক্ষণ তাই আপনার যদি নিয়মিত ভাবে মাসিক না হয়। তাহলে আপনি বাড়িতে বসে প্রেগন্যান্টসি টেস্ট করে নিবেন। তবে আপনার যদি আগের মতো নিয়মিত ভাবে মাসিক হয় তারপর হঠাৎ একমাসে আপনার মাসিক এর সময় পরিবর্তন আসতে পারে। তবে যদি এক দিন দুই দিনের বেশি ৬ থেকে ৭ দিন এর মতো দেরি হয়ে যায় তাহলে আপনি এটাকে অবহেলা করবেন না।তবে মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে কিংবা মাসিক এর তারিখ পরিবর্তন হলেই যে আপনি প্রেগন্যান্ট বিষটা এমন নয়। মাঝে মাঝে মাসিক এর তারিখ পরিবর্তন হতে পারে। তাই আপনার এই বিষয় নিয়ে চিন্তা না করে আপনি বাড়িতে বসে প্রেগন্যান্টসি টেস্ট করে নিন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন মাসিক হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সম্পর্কে বিস্তারিত।

শেষকথা-ইসলামে মাসিকের কতদিন পর সহবাস করা যায়

প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষণ পড়ছিলেন ইসলামে মাসিকের কতদিন পর সহবাস করা যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত। আশা করি আমার আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি খুব ভালো মতো বুঝতে পেরেছেন ইসলামে মাসিকের কতদিন পর সহবাস করা যায়। এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লাগলে বন্ধুদের কাছে শেয়ার করতে পারেন।
আর নতুন কোনো বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। প্রতিদিন এমন তথ্য পেতে চোখ রাখুন আমার এই টিপস পাবলিক ওয়েবসাইটে। এতক্ষণ আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Leave a Comment