কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম এ সম্পর্কে বিস্তারিত

 

প্রিয় পাঠক আমাদের অনেকের বাড়িতে কবুতর থাকে। তবে কবুতরের রোগ ও ওষুধের নাম অনেকের জানা নেই। তাই আমাদের অনেকেরই কবুতর রোগ হয়ে মারা যায়। আজকে আমরা আপনাদের জানাবো কবুতরের রোগ ও ওষুধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত। আপনিও যদি কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমার এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

তাছাড়া আপনারা অনেকেই গুগলে সার্চ দিয়ে থাকেন কবুতরের ঝিমানো রোগের ঔষধ। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলো।

সূচিপত্রঃকবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম এ সম্পর্কে বিস্তারিত

কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম

আপনি যদি বাসায় কবুতর পালনের উদ্যোগ নিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে কবুতর রোগ ও ওষুধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। কেননা এর সম্পর্কে আপনার যদি ধারণা না থাকে তাহলে যেকোনো সময় আপনার পালিত কবুতর রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কবুতর পালনের করার জন্য আপনাকে প্রথমে কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
কবুতরের রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত
  • কবুতরের সাধারণ ভাবে তেমন রোগে আক্রান্ত হয় না। তবে কিছু রয়েছে তা হলো কলেরা, বসন্ত, রক্ত আমাশয়, রানীক্ষেত, নিউমোনিয়া, এগুলো বেশিরভাগ দেখা দেয়।
  • আপনার কবুতর বিদেশী হোক কিংবা দেশীয় হোক নানা ধরনের রোগ জীবাণুতে আক্রান্ত হতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি যেটা ঘটে তা হল পানি কিংবা কবুতরের খাদ্যর মাধ্যমে জীবাণু আক্রমণ করে।
  • অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে কিংবা গরমের কারণে কবুতরের শরীর দুর্বল হয়ে যায় এতে করে কবুতরের নিউমোনিয়া হতে পারে।
  • রানীক্ষেত হলো ভাইরাস জনিত রোগ। রানীক্ষেত রোগটির অনেকে অনেক রকম ভাবে নাম দিয়ে থাকে যেমন কেউ কেউ বলে কবুতরের ঝিমুনো, কেউ বলে কবুতরের চুনা পায়খানা ইত্যাদি। কবুতরের কিংবা মুরগির জন্য রানীক্ষেত রোগটি অনেকটা বিপজ্জনক।
  • সাধারণত কবুতরের যে সমস্ত স্থানে পালক থাকে না। যেমন ধরুন মুখের চারদিকে, পায়ে এবং চোখে এসব স্থানে পালক থাকে না এই সমস্ত জায়গাতে গুটি কিংবা ফোস্কা দেখা যায়।
  • কোন রোগই সুবিধা নয়। কবুতরের রোগ হলে তার যদি চিকিৎসা না করা হয় কিংবা ওষুধ খাওয়ানো না হয় তবে তা খুব তাড়াতাড়ি মারা যাবে। তাই আপনার যদি কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা থাকে তাহলে আশা করছি আপনি লাভজনক হবেন।
  • সালমোনেলোসিস এটি একটি কবুতরের জন্য অনেকটা মৃত্যুর ঝুঁকিপূর্ণ রোগ। এ রোগটি হলে কবুতরের মৃত্যুর হার অনেকটা কম হলেও এর প্রভাব বিস্তারতা অনেক।
  • রক্তআমাশা রোগটি হয় সাধারণত বিভিন্ন ধরনের প্রজাপতির প্রটোজোয়ার দ্বারা।
ঔষধের নাম এ সম্পর্কে বিস্তারিত 
  • কবুতরের বাচ্চার রানীক্ষেত হলে আপনি ভ্যাকসিন দিতে পারেন। ভ্যাকসিনটির নাম হলো বিসিআরডিবি। আপনি বাংলাদেশের যেকোনো প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে এই রানীক্ষেতের ভ্যাকসিনটি পেয়ে যাবেন।
  • আপনার কবুতরের যদি বসন্ত হয়ে থাকে তাহলে আপনি পক্স ভ্যাকসিন দিতে পারেন। এটি আপনি আলাদা ভাবে কিনতে পারবেন। আবার সকল পানি সম্পদ হাসপাতালে পাবেন।
  • কবুতরের কলেরা হলে সালফার ড্রাগ ভালো কার্যকৃত হবে। তা বাদে আপনি কলেরা ভ্যাকসিন দিতে পারেন।
  • কবুতরের ঠান্ডা লাগলে কিংবা নিউমোনিয়া হলে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে পারবেন।

কবুতরের ঝিমানো রোগের ঔষধ

প্রিয় পাঠক আমরা অনেক সময় খেয়াল করে দেখি কবুতর অসুস্থ হয়ে ঝিমাচ্ছে।এই ঝিমানো কে রানীক্ষেত বলা হয়। এটি হল একটি ভাইরাস জনিত রোগ। এই ঝিমানো রোগের লক্ষণ হলো কবুতরের জ্বর থাকবে, উপকর চুনের মত সাদা পায়খানা করবে, খাওয়া ছেড়ে দিবে, এমন ভাবে কিছুদিন পর মারা যাবে।কবুতরের ঝিমানো রোগের ঔষধ হলো রেনামইসিস খাওয়া তে পারেন।আর ভ্যাকসিন এর নাম হলো বিসিআরডিবি।

কবুতরের খাবার দেওয়ার নিয়ম

আমরা অনেকে  কবুতরকে ভালোবাসি।অনেক শখ করে বাসাতে কবুতর পোষেণ।তবে অনেকের জানা নেই কবুতরের খাবার দেওয়ার নিয়ম।তাই আমি আজকে আপনাদের জানাবো কবুতরের খাবার দেওয়ার নিয়ম এ সম্পর্কে বিস্তারিত।আপনার ও যদি জানা না থাকে কবুতরের খাবার দেওয়ার নিয়ম তাহলে আমার এই পোস্ট টি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

কবুতর শুকিয়ে যাওয়ার কারণ

আমরা যারা বাড়িতে যারা কবুতর পালণ করি অনেক সময় দেখি কবুতর দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে।তবে এর সঠিক রোগ সম্পর্কে অনেকের ধারণা নেই।ত চলুন জেনে নেওয়া যাক কবুতর শুকিয়ে যাওয়ার কারণ।আমরা উপরে  কবুতরের রাণীক্ষেত সম্পর্কে আলোচনা করেছি বিস্তারিত।কবুতরের রাণীক্ষেত হলে কবুতর শুকিয়ে যায়।কবুতরের ওজন কমে যায়।
ইনক্লশন বডি হেপাটাইটিস হলো এক ধরণের ভাইরাস জনিত রোগ।কবুতরের এই রোগটি হলে খাবারে অনীহা দেখা যায়।কবুতর শুকিয়ে যায়।কিছু দিন পর কবুতর মারা যায়।কবুতরের বসন্ত হলেও খাওয়া কমিয়ে দেয়।এতে কবুতর দিন দিন শুকিয়ে যায়।

কবুতরের ঠান্ডার ঔষধ

কবুতরের অতিরিক্ত গরম এ আবার অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে অনেক সময় অসুস্থ হয়ে যায়।তার কিছু দিন পরে কবুতর মারা যায়।আপনাদের অনেকের জানা নেই কবুতরের ঠান্ডার ঔষধ।প্রিয় পাঠক কবুতর প্রালণ এর আগে কবুতর এর কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।তাহলে আপনি বাসাতে খুব ভালো মতো কবুতর প্রালণ করতে পারবেন।ত চলুন জেনে নেওয়া যাক কবুতরের ঠান্ডার ঔষধ।
কবুতরের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে বুঝতে পারবেন কবুতরের নিউমোনিয়া হয়েছে।কবুতরের নিউমোনিয়া বা ঠান্ডা লাগলে আপনি এন্টিবায়টিক খাওয়াতে পারেন।তারপর যদি ভালো না হয় তাহলে আপনি ভ্যাটেরিনারি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন।

কবুতরের পাতলা পায়খানার চিকিৎসা

যারা কবুতর প্রালণ করেন তারা অনেকে দেখেছেন কবুতর মাঝে মাঝে পাতলা বা তরল পায়খানা করে।আবার পায়খানাতে সবুজ রং ও হতে পারে।এর রোগের মূল রোগ হলো  কলেরা।কলেরা রোগ হলো মারাক্তক রোগ।শতকতরা তে ৪০ ভাগ কবুতর মারা যায় কলেরা রোগের সঠিক চিকিৎসা না করার কারণে।
তাহলে এখন কথা হলো কবুতরের পাতলা পায়খানা দেখা দিলে কি চিকিৎসা করবো তাই তো।কলেরা হলে আপনি সালফার ড্রাগ ভালো কার্যকর হবে।আর কলেরার ভ্যাকসি সব প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে পাবেন আপনি।বছরে ২ বার এই ভ্যাকসিন দিলে কবুতরের রোগ বালা অনেক কম হবে।

কবুতরের মাসিক ঔষধের তালিকা

প্রিয় পাঠক ইতিমর্ধে আপানারা কবুতরের অনেক রোগ সম্পর্কে জেনেছেন এবং তার চিকিৎসা কিভাবে করবেন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। তো এখন একটু সীমিত আকারে দেখে নেওয়া যায় কবুতরের মাসিক ঔষধের তালিকা।নিচে কয়েকটি কবুতরের মাসিক ঔষধের তালিকা উল্লেখ করা হলোঃ
  • ভিটামিন এ,ডি৩
  • মাল্টি ভিটামিন
  • এন্টিবায়োটিক
  • লিভার টনিক সালমোনেলা
প্রিয় পাঠক আপনার প্রতি অনুরোধ রইল। আপনার যদি কবুতর প্রালণের ইচ্ছে থাকে তাহলে আপনি বাসায় দেশি এবং বিদেশি কবুতর প্রলণ করতে পারেন। তবে কবুতরের যদি কোন রোগ দেখা যায় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ কিংবা অজান্তে কোন ঔষধ খাওয়াবেন না।

শেষকথা-কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম এ সম্পর্কে বিস্তারিত

প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষন পড়ছিলেন কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম এ সম্পর্কে বিস্তারিত।আপনি যদি আমার এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আশা করছি কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম এ সম্পর্কে বিস্তারিত খুব ভালো মতো জানতে পারবেন।আশা করছি এখন থেকে আপনি কবুতর প্রালণ করতে পারবেন খুব ভালো মত।আবার কবুতরের কোনো রোগ হলে আপনি নিজে তার চিকিৎসা করতে পারবেন। 
আমার এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন তথ্য প্রযুক্তি,লাইফ স্টাইল,শিক্ষা,স্বাস্থ,চিকিৎসা ও ইসলামিক বিষয় নিয়ে বাংলা পোস্ট বা আর্টিকেল লিখি।আমার এই পোস্ট টি আপনার ভালো লাগলে আপানার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করতে পারেন,এতক্ষন আমার এই পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment