কিডনির পয়েন্ট কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক আপনি কি কিডনির পয়েন্ট কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। কেননা আমার আজকের এই পোস্টের মূল বিষয় হলো কিডনির পয়েন্ট কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত। ত চলুন আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে শুরু করা যাক কিডনির পয়েন্ট কমানোর উপায় গুলোর বিস্তারিত।

কিডনির পয়েন্ট কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আমার এই পোস্টটি আপনি শেষ পর্যন্ত পড়লে আরো জানতে পারবেন কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো এবং কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো।

পেজ সূচিপত্রঃকিডনির পয়েন্ট কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।

কিডনির পয়েন্ট কমানোর উপায়

কিডনি আমাদের শরীরের অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আপনার যদি কিডনিতে পয়েন্ট বেড়ে যায় তাহলে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন এটা থেকে খারাপ অবস্থার দিকে চলে যেতে পারে। তাই আপনার যদি জানা থাকে কিডনির পয়েন্ট কমানোর উপায় তাহলে আপনি সেই টিপস গুলো মেনে চললে আপনার কিডনির পয়েন্ট কমে যাবে।আপনার কিডনির পয়েন্ট কমানোর জন্য আপনাকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকতে হবে।তবে আপনি নিয়মতি ভাবে প্রতিদিন সকালে হাটতে পারেন।
আপনাকে আমিষ জাতিয় খাবার কম খেতে হবে। যে সব খাবারে বেশি পরিমাণে আমিষ রয়েছে সে খাবার গুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। যেমন গরুর মাংস। এরপর আপনি পরিমাপ মতো পানি পান করবেন। কেননা পানি পান করা আমাদের শরীরের জন্য অনেকটা উপকারি তবে। আপনি পরিমাপের থেকে যদি বেশি পরিমাণ পানি পান করেন তাহলে কিডনিতে সমস্যা হতে পারে কিংবা আপনার কিডনির পয়েন্ট বাড়িয়ে দিতে পারে।তাই আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমাপ মতো পানি পান করবেন।
আপনি আঁশ জাতিও খাবার খেতে পারেন। এই আঁশ জাতিও খাবার গুলো আপনাকে কিডনির পয়েন্ট গুলো স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করবে। আপনি ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে পারেন।যেমন সকল প্রকার শাক-সবজি, তাঁজা ফলমূল। তার পাশাপাশি আপনি কিডনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিয়ে কিডনির পয়েন্ট কমানোর জন্য ওষুধ খেতে পারেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কিডনির পয়েন্ট কমানোর উপায়।

কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো

আপনাদের অনেকের মনে প্রশ্ন কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো হয়। তো চলুন একটু বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। কিডনির পয়েন্ট নির্ধারিত করা হয় সাধারণত তার বয়স তার স্বাস্থ্য তার উচ্চতা অনুযায়ী। তারপর ও সাধারণ গড় অনুসারে ছেলেদের ক্ষেত্রে 0.6 থেকে 1.2 মিলিগ্রাম। অপর দিকে মেয়েদের ক্ষেত্রে 0.5 থেকে 1.1 মিলিগ্রাম।
আপনার যদি এই পরিমাপ থেকে বেড়ে যায়। তাহলে আপনি কিডনির ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। তাছাড়া আপনি কিডনির পয়েন্ট কমানোর উপায় এর টিপস মেনে চলতে পারেন। তাহলে আপনার কিডনির পয়েন্ট স্বাভাবিক থাকবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো।

কিডনি রোগের পরীক্ষা

আপনার কিডনিতে যদি সমস্যা হয় তাহলে সর্বপ্রথম আপনার প্রসাবের সমস্যা দেখতে পারবেন। কিডনিতে রোগ হলে তা আগে থেকেই আপনার ডাক্তার কাছে যেতে হবে এটা নিয়ে অবহেলে করা যাবে না। কিডনি রোগের পরীক্ষা করার জন্য ২ টি পরীক্ষা করতে হবে। একটি হলো ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করা আরেকটি হলো প্রসাব পরীক্ষা করা।
কিডনির রোগ গুলোকে সাধারণত ভাবে ৫ ভাগে ভাগ করা হয়। তার ভেতরে ১ থেকে ৪ ভাগ পার হওয়া পর ও কিডনির সমস্যার লক্ষণ বোঝা যায় না। তাই আপনি যদি কোনো লক্ষণের মার্ধ্যমে বুঝতে পারেন আপনার কিডনিতে সমস্যা হয়েছে। তাহলে আপনি উপরের ২টি পরীক্ষা করতে পারেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কিডনি রোগের পরীক্ষা।

কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়

কিডনি আমাদের শরীরের এমন একটি অংশ যা পরিপূর্ণ ভাবে নষ্ট না হওয়া পর্যন্ত তার লক্ষণ বোঝ যায় না। কিডনি রোগ যেকোনো বয়সে হতে পারে। তবে কিছু কিছু রোগ যাদের আছে তারা অনেকটা ঝুকিপূর্ণ। তাদের ভেতরে যাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন তাদের কিডনিতে সমস্যা হতে পারে। আপর দিকে যাদের ডায়েবেটিস এবং রক্তচাপ রয়েছে তাদের ও বুঝি রয়েছে। এবার আপনাদের জানাবো কিডনি রোগের লক্ষণ বা আপনার শরীরে কোনো কোনো পরিবর্তন দেখা দিলে আপনি বুঝবেন যে আপনার কিডনিতে সমস্যা হয়েছে।
আপনার যদি হাত পা ফোলে তাহলে আপনি মনে করবেন আপনার কিডনিতে সমস্যা হয়েছে। কিডনিতে সমস্যা হলে সব থেকে প্রসাবের পরিবর্তন বেশি বোঝা যায়। যেমন আপনার প্রসাবের সাথে রক্তবের হতে পারে। আগের তুলনায় প্রসাব ঘন ঘন হতে পারে। প্রসাব লালচে রং হবে এবং প্রসাবে ফেনাযুক্ত থাকতে পারে। এছাড়াও আপনার শরীরে যদি ক্লান্তি বা অসুস্থ্য বোধ হয় তাহলে আপনার কিডনিতে সমস্যার থাকতে পারে। রাতে আপনার ঘুম কম হলে এবং আপনার যদি চামরাতে চুলকানি হয় এটাও কিডনি রোগের লক্ষণ।
প্রিয় পাঠক আপনার যদি উপরুক্ত লক্ষণ যেকোনো একটি বা দুইটি দেখা যায়। তাহলে আপনি দূর ডাক্তার দেখা বেন। আর কিডনি ভালো আছে কি না তা জানার জন্য ২ টি পরীক্ষা করতে পারেন। তবে আমি মনে করি ৪০ বছরের যাদের পার হয়েছে। তাদের উচিত বছরে ২ বার করে কিডনি পরীক্ষা করা। এতে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার কিডনি ভালো আছে কি না। আর অপর দিকে কিডনিতে রোগ দেখা দিলে তার চিকিৎসা নিতে পারেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়।

কিডনির নরমাল পয়েন্ট কত

কিডনির পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয় সাধারণ ত একটি মানুষের বয়স,তার শরীরের গঠন,তার ওজনের মার্ধ্যমে। সে অনুসারে সাধারণত ছেলেদের 0.6 থেকে 1.2 মিলিগ্রাম আর মেয়েদের 0.5 থেকে 1.1 মিলিগ্রাম। প্রিয় পাঠক সাধারণ মানুষের গড় অনুযায়ী কিডনির নরমাল পয়েন্ট কত তুলে ধরা হলো। তাছাড়া ভিন্ন ভিন্ন মানুষের ভিন্ন থাকতে পারে। তবে এই বিষয়ে আপনি কিডনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিতে পারেন। কেননা আপনার বয়স এবং আপনার শরীরের গঠন অনুযায়ী কিডনির নরমাল পয়েন্ট ভিন্ন হতে পারে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কিডনির নরমাল পয়েন্ট কত হয়।

শেষকথা-কিডনির পয়েন্ট কমানোর উপায়

প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষণ পড়ছিলেন কিডনির পয়েন্ট কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত। আশা করি আমার আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনার উপকারে আসবে। আপনার যদি এই পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করতে পারেন। আর যদি নতুন কোনো বিষয়ে তথ্য জানতে চান। তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
কেননা আমার এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন তথ্য প্রযুক্তি,লাইফ স্টাইল,শিক্ষা,স্বাস্থ্য-চিকিৎসা,আইন কানুন,প্রবাসি তথ্য ও ইসলামিক বিষয় নিয়ে বাংলা ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল লেখা হয়। আপনি যদি প্রতিদিন এমন তথ্য পেতে চান তাহলে চোখ রাখুন আমার এই টিপস পাবলিক ওয়েবসাইটে। এতক্ষণ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment