কোরবানি কাদের উপরে ফরজ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আমাদের মুসলমান জাতির সবচেয়ে আনন্দ ও খুশির দিন হলো দুইটি।তার ভেতরে একটি হলো ঈদুল ফিতর অন্যটি হলো ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। কোরবানির ঈদে মূল বিষয় কোরবানি দেওয়াকিন্তু কোরবানি কাদের উপরে ফরজ তা আজকে আমার এই আর্টিকেল এ জানতে পড়বে।ত আপনি যদি জানতে চান কোরবানি কাদের উপরে ফরজ তাহলে আর্টিকেলটি মন দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

কোরবানি কাকে বলে ?

একটি নির্দিষ্ট দিনে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পুরস্কার এর আশায় একটি নির্দিষ্ট পশুকে যবেহ করাকে কোরবানি বলে। জিলহজের মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত কোরবানি করা যায়।

কোরবানি কাদের উপরে ফরজ

কোরবানি কাদের উপরে ফরজ করেছেন তা অনেকে না জানা। আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়লে জানতে পারবেন কোরবানি কাদের উপরে ফরজ করেছেন।হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)তিনি বললেন আমাদের মহানবি (সাঃ) বলেছেন যে ব্যক্তির সামর্থ্য থাকা পরেও কোরবানি করে না সে যেন আমার ঈদগাহে মর্ধ্যে নামাজ পড়তে না আসে।প্রত্যেকটি পরিবারের জন্য প্রতিবছর একটি করে কোরবানি করলে হবে।ত কোরবানি কাদের উপরে ফরজ তা জেনেনি একদল উলামা বলেছেন কুরবানীর সুন্নত। আর অন্য আরেকটি দল উলামায়ে কেরাম বলেছেন যে কোরবানি ওয়াজিব। তবে তিন থেকে চারজন উলামা কেরাম বাদে অন্য কেউ কোরবানি কেউ ওয়াজিব করে নাই। বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজন জিনিস বাদে প্রায় ৪৫ হাজার টাকার মালিক হলে কোরবানি করা যায়। তাহলে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কাদের ওপরে কোরবানি কাদের উপরে ফরজ করেছেন।

কোরবানি ঈদের দিনে করণীয়
সর্বপ্রথম জামাতের সাথে ফজরের নামাজ আদায় করা।ঈদের দিন টা হলো অনেকটা আনন্দের দিন। সেজন্য সকালে মিসওয়াক করে গোসল করে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর জামা পরিধান করে আতর সুরমা লাগিয়ে, নামাজের উদ্দেশ্যে ঈদগাহে যাওয়া।ঈদগাহে যাওয়ার সময় বড়রা ছোটদের সঙ্গে নিয়ে যাবে এবং তাকবির বলবে এটা সুন্নত।
এখানে আরেকটা দিক হলো রাস্তা বদল করা।নামাজে যাওয়ার সময় এক রাস্তা দিয়ে যাওয়।বাড়ি ফেরার পথে অন্য রাস্তা দিয়ে বাড়িতে আসা হলো ঈদের দিন নামাজ পড়া সুন্নতে মুয়াক্বাদা। জামাতের সাথে নামাজ শেষ করে একে অপরের কোলাকুলি করা। এরপর বাড়িতে আসা, আপনি চাইলে কবর জিয়ারত করাতে পারেন।
বাড়িতে আসে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি দেওয়া। নামাজের আগে কোরবানি করা জায়েজ না। কুরবানী করার আরেকটি মূল বিষয় হলো নিয়ত ঠিক রাখা। অন্যকে দেখানোর জন্য কোরবনি করলে তা সহীহ হবেনা।

কত টাকা থাকলে কোরবানি করতে হবে

কোরবানি কাদের উপরে ফরজ এটা হয়তো আপনারা বুঝতে পেরেছেন। তবে কত টাকা থাকলে কোরবানি করতে হবে তা একটু জেনে নিই। সাধারণ তো কোনো একটি পরিবারের সংসারের খরচ মেটানোর পর জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে কোনো ব্যাক্তির নিকট যদি ৪৫হাজার থেকে ৪ লক্ষ টাকা থাকে তাহলে তাকে কোরবানি করতে হবে

কোরবানি সঠিক নিয়ম 

কুরবানী করার জন্য আমাদের নিয়ত করেতে হবে।আর খেয়াল রাখতে হবে যে পশুটা কোরবানি করবো সে যেন শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকে।তো চলুন কোরবানির সঠিক নিয়ম জেনে নি।যে পশুটা কোরবানি করা হবে তার বর্ণনা জানতে হবে। সে যেন স্বাভাবিকভাবে সুস্থ থাকে। কানা কোন পশু দিয়ে কোরবানি হবে না।খোড়া প্রাণী দিয়ে কোরবানি করা যাবে না। শিংভাঙ্গা এবং কান কাটা এমন পশু কোরবানি করা যাবে না।
বাজার থেকে পশু কিনে আনার সময় কিংবা কোরবানি করার সময় পশুর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করা। যে ছুরি দিয়ে পশুকে কোরবানি করা হবে তা যেন ধারালো হয়। অনেক সময় দেখা যায় পশুকে জবাই করার পরে যার জানটা বের না হওয়ার আগেই পশুর গলাতে ছুরি দিয়ে আঘাত করা। পেটে পশুর স্বাভাবিক মৃত্যু না হয়ে র্স্টোক বা অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় এটা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোরবানি দেওয়া শেষ হলে তার বর্জ্যগুলো ভালোমতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নিজ দায়িত্বে করতে হবে। কেননা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ।

কোরবানি করার উদ্দেশ্য

কোরবানি কাদের উপরে ফরজ করেছেন তা আমরা ভালোমতো জেনেছি।আমরা যদি শুধুমাত্র মানুষকে দেখানোর জন্য কোরবানি করি তাহলে তা সহী নয়। যেহেতু আল্লাহর থেকে হুকুম এসেছেন কোরবানি করার জন্য সেহেতু একমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্য এবং পুরস্কার লাভের আশার কোরবানি করতে হবে।

কোরবানির গোশত কত ভাগে ভাগ করা হয়

সাধারণত গোশতকে তিন ভাগে ভাগ করা মোস্তাহাব। এক ভাগ নিজের জন্য, আরেক ভাগ প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজনদের জন্য অন্য একটি ভাগ গরীব ও অসহায়দের জন্য। এই দিনে গরীব ও অসহায় সবাইকে সমান ভাগে ভাগ করে দিতে হবে।

শেষকথা-কোরবানি কাদের উপরে ফরজ 

 প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষন পড়ছিলেন কোরবানি কাদের উপরে ফরজ।আশা করি আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন কোরবানি কাদের উপরে ফরজ।আর আপনার যদি এ বিষয়ে আরো ভালো মতামত থাকে তাহলে আমাদের জানাতে পারেন।সব শেষে আপনার সু-স্বাস্থ কামনা করছি।

Leave a Comment