ক্রিয়েটিনিন কমানোর খাবার কোন গুলো বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন কি কি খাবারে ক্রিয়েটিনিন বাড়ে।তাই আমি আজকে আপনাদের জানাবো কি কি খাবারে ক্রিয়েটিনিন বাড়ে।আপনার যদি ক্রিয়েটিনিন রোগ হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে নিশ্চয় জানতে হবে কি কি খাবারে ক্রিয়েটিনিন বাড়ে।তাই আমার আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে ভালো মতো বুঝতে পারবেন কি কি খাবারে ক্রিয়েটিনিন বাড়ে।

ক্রিয়েটিনিন কমানোর খাবার কোন গুলো বিস্তারিত জানুন
আরো জানতে পারবেন কিডনি রোগের লক্ষণ এবং ক্রিয়েটিনিন কেন বাড়ে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।তাই শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।

পেজ সূচিপত্রঃকি কি খাবারে ক্রিয়েটিনিন বাড়ে বিস্তারিত জানুন

কি কি খাবারে ক্রিয়েটিনিন বাড়ে

প্রিয় পাঠক ক্রিয়েটিনিন রোগ সম্পর্কে কম বেশি অনেকে জানেন।তবে কি কি খাবারে ক্রিয়েটিনিন বাড়ে এ সম্পর্কে আপনাদের অনেকের জানা নেই।তাই আমি আজকে এই আর্টিকেলে জানাবো কি কি খাবারে ক্রিয়েটিনিন বাড়ে।ক্রিয়েটিনিন কমানোর জন্য আপনাকে আঁশ যুক্ত খাবার খেতে হবে আপনাকে।তাহলে আপনার যদি ক্রিয়েটিনিন এর সমস্যা দেখা যায় তাহলে তা কমিয়ে আসবে।
ত চলুন জেনেনি আঁশ যুক্ত খাবার কোন গুলো ডাল,শিম,মটর এগুলো সিমজাতীয়। ফল জাতীয় ভেতরে রয়েছে গাজর,কমলা,অ্যাপেল, এই খাবার গুলোতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ রয়েছে আপনার যদি ক্রিয়েটিনিন রোগ দেখা দেয় তাহলে এই খাবার গুলো খাবেন।আশা করছি কি কি খাবারে ক্রিয়েটিনিন বাড়ে আপনি বুঝতে পেরেছেন।

ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায়

বন্ধুরা ধরন আপনার ক্রিয়েটিনিন রোগ হয়েছে আপনি ডাক্তার এর চিকিৎসা নিচ্ছেন তার পাশা পাশি যদি বাড়িতে বসে আপনি ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায় বিস্তারিত জানতে পারেন তাহলে আশা করছি আপনার অনেক উপকার হবে ।তাই আমি আজকে আপনাদের জানাবো ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায়।তাই আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো।ক্রিয়েটিনিন হলো রক্ত বা ব্রর্জ পদার্থ।আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে কাজ গুলো করি আমাদের মাংস পেশি গুলো ব্যবহার করি।
এই মাংস পেশি বা কাজ করার জন্য যে শক্তি উৎপন্ন হয় তা হলো ক্রিয়েটিনিন থেকে।এক দিকে কাজের জন্য শক্তি উৎপন্ন করে।আর অন্য দিকে ব্রর্জ হিসেবে রক্ত জমতে থাকে।তাহলে কাজের সময় আমাদের মাংস পেশি ব্যবহার করবো তখন আমাদের তখন ক্রিয়েটিনিন উৎপন্ন হয়।তখন এটা আমাদের ক্রিয়েটিনিন রক্ত ব্রর্জ সাথে মিশে আমাদের কিডনিতে গিয়ে চাকনি হয়ে দিয়ে প্রসাবের দ্বারা বের হয়ে যায়।তাহলে আপনার যদি কিডনিতে সমস্যা থাকে তাহলে ঠিক মতো ক্রিয়েটিনিন ঠিক মতো ব্রর্জ বের করতে পারছে না।
ক্রিয়েটিনিন বাড়া মানে আপনার কিডনিতে সমস্যা।ত এবার জেনেনি ক্রিয়েটিনিন পয়েন্ট কত থাকলে তা স্বাভাবিক থাকে।ছেলেদের ক্ষেত্রে 0.06 থেকে 1.2 মি.লি।আর মেয়েদের ক্ষেত্রে 0.05 থেকে 1.1 মি.লি।এর থেকে বেশি যদি হয়ে যায় তাহলে ভাবনার বিষয়।এবার আপনাদের জানবো ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায়
  • অতিরুক পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকতে হবে আপনার যদি ক্রিয়েটিনিন এর সমস্যা দেখা যায় তাহলে
  • আপনাকে প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে হাটবেন।
  • আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
  • আমিষ জাতিয় খাবার কম খেতে হবে আপনার যদি ক্রিয়েটিনিন এর সমস্যা দেখা যায় তাহলে
  • আশ জাতিয় খাবার খাবেন।শাক সবজি খাবেন তাহলে আপনার ক্রিয়েটিনিন এর সমস্যা দূর হবে।
প্রিয় পাঠক আপনার যদি ক্রিয়েটিনিন রোগের লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে আপনি কোন কোন উপায় গুলো মেনে চললে আশা করি ক্রিয়েটিনিন রোগ কমে আসবে।আর কি কি খাবারে ক্রিয়েটিনিন বাড়ে তা উপরে অনেক ভালো মত আলোচনা করেছি সে খাবারগুলো নিয়মিত খাবেন।

কিডনি রোগের লক্ষণ

স্বাস্থ হলো আমাদের মূল সম্পদ।স্বাস্থ যদি ভালো থাকলে নিজেকে অনেক সুখি মনে হয়।তবে আপনার শরীরে জানেন কি রোগ পুসে রাখছেন কি না।কেননা আমাদের দেহের কিডনিতে সমস্যা হলে তা বুঝা যায় না।তাই আমার আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে জেনেনি কিডনি রোগের লক্ষণ।ত চলুন বিস্তারিত জেনেনি কিডনি রোগের লক্ষণ কি কি।কিডনি রোগ হলো এমন একটি রোগ যা আপনার শরীরের জটিল অবস্থা না হওয়া পর্যন্ত তা প্রকাশ পায় না। কিডনি রোগের লক্ষণঃ
  • আপনার যদি প্রসাবের পরিবর্তন দেখা দেয় তাহলে আপনি মেনে নিবেন আপনার কিডনিতে রোগ হয়েছে।
  • আবার প্রসাবের সময় যদি ব্যথা করে এটাও হলো কিডনি রোগের লক্ষণ।
  • আর সবচেয়ে ঝুকি লক্ষণ হলো আপনার প্রসাবের সাথে যদি রক্ত বের হয়।
  • আরেকটি লক্ষণ হলো শরীর ফোলা ফোলা ভাব।
  • আপনার যদি বমি বমি ভাব হয় তাহলে এটাও কিডনির লক্ষণ।
  • পিঠে ব্যথা বা কিডনিতে ব্যথা করা।
প্রিয় বন্ধুরা উপরুক্ত লক্ষণ গুলো যদি আপনার ভেতরে দেখা দেয়।তাহলে আপনি খুব তারাতারি ডাক্তার দেখাবেন।

কিডনির পয়েন্ট কমানোর উপায়

আপনারা অনেকে গুগলে সার্চ দিয়ে থাকেন কিডনির পয়েন্ট কমানোর উপায়।তাই আমি আজকে আপনাদের জানাবো কিডনির পয়েন্ট কমানোর উপায়।ত চলুন বিস্তারিত জেনেনি কিডনির পয়েন্ট কমানোর উপায় গুলো।আমিষ যুক্ত খাবার আপনাকে পরিহার করতে হবে।আঁশ যুক্ত খাবার খেতে হবে।আর উপরে এই বিষয়ে তালিকা আকারে উপরে আলোচনা করা হয়েছে।আপনি তা জেনে গিয়েছেন আশা করছি সে নিয়ম গুলো অনুযায়ী মেনে চললে কিডনির পয়েন্ট কমে যাবে।আশা করছি কিডনির পয়েন্ট কমানোর উপায় এ বিষয়ে আপনার আর কোনো সন্দেহ নেই।

ক্রিয়েটিনিন কেন বাড়ে

আমার আজকের আর্টিকেল এর মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে কি কি খাবারে ক্রিয়েটিনিন বাড়ে।তার সাথে আপনাদের অনেকের জানা নেই ক্রিয়েটিনিন কেন বাড়ে।তাই আমি আজকে আপনাদের জানবো ক্রিয়েটিনিন কেন বাড়ে।ত চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত ক্রিয়েটিনিন কেন বাড়ে।আমাদের দেহে কিডনি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।এই কিডনিতে যদি আপনার সমস্যা দেখা দেয়।তাহলে আমাদের শরীরের ব্রর্জ গুলো কিডনির ভেতর তখন ফিল্টার করতে বাধা পায়।সে রক্ত কারণে ক্রিয়েটিনিন থেকে আলাদা হতে পারে না সে কারণে ক্রিয়েটিনিন মাত্রাটা বেড়ে যায়।নিচে কিছু ক্রিয়েটিনিন কেন বাড়ে উল্লেখ করা হলো
  • আপনার যদি বমি বমি ভাব আসে 
  • আপনার ঘুমের সমস্যা হয় যদি
  • খাবারে প্রতি যদি অরুচি থাকে
  • আপনার প্রসাবের যদি পরিবর্তন দেখা যায় 
  • শরীরে ফোলা ফোলা ভাব হলে
প্রিয়ব পাঠক উপরুক্ত লক্ষণ গুলো গুলো হলো ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার কারণ

সিরাম ক্রিয়েটিনিন

এবার আপনাদের কাছে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো তা হলো সিরাম ক্রিয়েটিনিন।ত চলুন জেনেনি সিরাম ক্রিয়েটিনিন বিস্তারিত।আমাদের দেহে কিডনি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।এই কিডনিতে যদি আপনার সমস্যা দেখা দেয়।তাহলে সিরাম আমাদের শরীরের ক্রিয়েটিনিন এর যে মাত্রা কিডনির এবং আমাদের শরীরের স্বাস্থ নির্ণয় করতে সাহায্য করে।সিরাম ক্রিয়েটিনিন হলো একটি ব্রর্জ পণ্য।এর কোনো শরীরের কার্য নেই।আশা করি আপনারা সিরাম ক্রিয়েটিনিন সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

কিডনির ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায়

প্রিয় পাঠক আমার আজকের আর্টিকেল এর মূল বিষয় হলো কি কি খাবারে ক্রিয়েটিনিন বাড়ে বিস্তারিত।আশা করছি এ বিষয়ে আপনি বুঝতে পেরেছেন।এবার আপনাদের জানাবো কিডনির ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায়।ত চলুন একটু বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক কিডনির ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায় গুলো।কিডনির ক্রিয়েটিনিন এমন একটি রোগ।
যে রোগ ভালো করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই।কিডনির ক্রিয়েটিনিন রোগের মাত্রা বেড়ে যায় মূলত শরীরের অন্য রোগের কারণে।তাই আপনি যদি সে রোগের ওষুধ খেয়ে রোগ টা ঠিক করে নিতে পারেন।তাহলে আপনার কিডনির ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা কমে আসবে।তাহলে কিডনির ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায় বুঝতে পেরেছেন।

শেষকথা-কি কি খাবারে ক্রিয়েটিনিন বাড়ে বিস্তারিত

প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষণ পড়ছিলেন কি কি খাবারে ক্রিয়েটিনিন বাড়ে বিস্তারিত।আশা করি আমার আজকের পোস্টটি পড়ে আপনার উপকারে আসবে।আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করতে পারেন।আর নতুন কোনো বিষয় নিয়ে যদি জানতে চান তাহলে আমাদের কাছে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
আমার এই ওয়েবসাইডে প্রতিদিন তথ্য প্রযুক্তি,লাইফ স্টাইল,শিক্ষা,স্বাস্থ্য-চিকিৎসা,প্রভাসি তথ্য ও ইসলামিক বিষয় নিয়ে বাংলা ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল লেখা হয়।এতক্ষণ আমার এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Leave a Comment