গরম পানি পানের উপকারিতা – অপকারিতা

পানির অপর নাম জীবন। তবে গরম পানি পানের উপকারিতা – অপকারিতা কি তা আমাদের অনেকের জানা নেই। প্রিয় পাঠক সেজন্য আজকের আর্টিকেল মূল আলোচ্য বিষয় হবে গরম পানি পানের উপকারিতা-অপকারিতা। আপনি যদি আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ে তাহলে আপনি খুব ভালো মতো বুঝতে পারবেন গরম পানি পানের উপকারিতা – অপকারিতা।

সূচিপত্রঃগরম পানি পানের উপকারিতা – অপকারিতা

১.গরম পানি পানের উপকারিতা

আমাদের বেঁচে থাকার জন্য পানি আবশ্যক প্রয়োজন।প্রিয় পাঠক আপনাদের ভেতরে হয়তো অনেকের জানা নেই গরম পানি পানের উপকারিতা। আর সেজন্যই আমার আজকের আর্টিকেল মূল বিষয় হচ্ছে গরম পানি পানের উপকারিতা।পানি এমনিতে আমাদের শরীর অনেকটা উপকারি।আবার তার যদি হয় গরম পানি তাহলে আর কোনো কথাই নেই এর উপকারিতার শেষ নেই।
আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক থেকে দুই গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানি পান করেন। তাহলে আপনার শরীরে অনেকটা উপকারিতা আসবে। আপনি খাবার ৩০ মিনিট আগে কিংবা ৩০ মিনিট পরে হালকা কুসুম গরম পানি এক গ্লাস খেতে পারে।আপনার যদি গরম পানি পানের উপকারিতা শেষ পর্যন্ত জানা থাকে তাহলে আপনি অবাক হবেন এর উপকারিতার কত।
হালকা কুসুম গরম পানি পান করলে আপনার শরীরের সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ কিংবা ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দিবে তাহলে নিশ্চয়ই বুঝছেন গরম পানি পানের উপকারিতা কত।আবার আমাদের অনেকের হঠাৎ করে হাঁটু ব্যথা,পায়ের গোড়ালি ব্যথ, বাত ব্যথ, এমন সকল ব্যথা দূর করবে আপনি যদি হালকা কুসুম গরম পানি পান করেন।

আপনার যদি হঠাৎ করে মাথা ব্যাথা হয় তাহলে আপনি হালকা কুসুম গরম পানি একটু পর পর পান করুন তাহলে দেখবেন আপনার মাথা ব্যাথা ইনশাল্লাহ ঠিক হয়ে গেছে।অপরদিকে যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা কিংবা এলার্জি আছে অর্থাৎ এক কথায় ঠান্ডা জনিত সকল সমস্যা দূর করবে আপনি যদি হালকা কুসুম গরম পানি পান করেন।আপনারা ইতিমধ্যে অনেকটাই জেনে জেনে গেছেন গরম পানি পানের উপকারিতা।
আমাদের অনেকেরই অতিরিক্ত মেদ ভুড়ি নিয়ে দুশ্চিন্তা।আপনারও যদি একই সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিয়মিত হালকা গরম পানি সঙ্গে লেবুর রস মিশ্রণ করে প্রতিদিন সকালে খাবেন তাহলে নিশ্চিত আপনার অনেকটা উপকারিতা আসবে।হালকা কুসুম গরম পানি আর লেবুর রস মেদ কমাতে সাহায্য করে। 
গরম পানি পানের উপকারিতা অনেক চলুন আর কিছু জানা যাক আমাদের অনেকে ত্বক খসখসে এবং ত্বকের ভেতরে তেমন উজ্জ্বলতা নেই তারা হালকা কুসুম গরম পানি পান করতে পারেন।আপনার পেটে অ্যাসিডিটি কিংবা পেটে কোন সমস্যা থাকলে হালকা কুসুম পানি পান করলে তা দূর হয়ে যাবে। আশা করি আপনারা খুব ভালো মতো বুঝতে পেরেছেন গরম পানি পানের উপকারিতা গুলো।

২.গরম পানি পানের অপকারিতা 

প্রিয় পাঠক এতক্ষন আপনাদের জানালাম গরম পানি পানের উপকারিতা কি।যেহেতু এটার উপকারিতা আছে তাহলে অবশ্যই অপকারিতাও রয়েছে। সেজন্য গরম পানি পানের অপকারিতা সম্পর্কে একটু বিস্তারিত আপনাদেরকে জানাবো।চিকন স্বাস্থ্যর জন্য এটা ক্ষতিকর।কেননা গরম পানি খেলে খাওয়ার প্রতি রুচিটা কমে আসে এবং আমাদের শরীরের ওজন কমে যায়।
সব কিছুরই একটা নিয়ম-কানুন রয়েছে সেজন্য নিয়ম ব্যতীত আমরা যদি গরম পানি পান করি তাহলে আর কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তার ভেতরে যেমন ডাইবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। সেজন্য আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যখন আমরা গরম পানি খাব পানিটা যেন কুসুম গরম থাকে। এতে তেমন খুব বেশি একটা সমস্যা হবে না।
কিন্তু অতিরক্ত মাত্র যদি গরম থাকে তাহলে অনেক সমস্যা হতে পারে যেমন গলাতে ঘা হতে পারে ইত্যাদি। তাহলে আশা করছি আপনি নিশ্চয় বুঝেছেন গরম পানি পানের অপকারিতা।প্রিয় পাঠক সেজন্য আপনারা যখন গরম পানি ফুটাবেন ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে ১০০° সেলসিয়াস তাপমাত্রা পর্যন্ত আপনি পানি ফুটাতে পারেন।

৩.গরম পানি পান করলে কোন কোন রোগ ভালো হয়

প্রিয় পাঠক আপনাদের প্রথমে বলে এসেছি গরম পানি পানের উপকারিতা অনেক বেশি।একজন মানুষের দেহে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ অংশে পানি থাকে।তাহলে নিশ্চয়ই আনুমানিক করতে পারছেন মানে আমাদের দেহের জন্য কতটা জরুরি।আর তার থেকে আরেকটু বেশি উপকারী হয় যদি আপনি পানিটা কুসুম কুসুম গরম করে খান।

তো চলুন জেনে নেওয়া যাক গরম পানি পান করলে কোন কোন রোগ ভালো হয়। হঠাৎ করে যদি মাথা ব্যাথা শুরু হয় তাহলে আপনি হালকা কুসুম গরম পানি একটু পর পর পান করবেন তাহলে দেখবেন ভালো হয়ে গেছে ইনশাআল্লাহ। আবার অপরদিকে হাটু ব্যথা,বাত ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথ, কোমরে ব্যথা এমন হালকা জনিত যদি কোন ব্যথা থাকে আপনার তা ভালো হয়ে যাবে।

শ্বাসকষ্ট, এলার্জি কিংবা আপনার হঠাৎ ঠান্ডা লাগলে বা গলা ব্যথা এবং অনেক সময় বুকে কফ জমে থাকে এ সময় আপনি গরম পানি পান করবেন তাহলে এগুলো ভালো হয়ে যাবে কিংবা অনেকটা কমে আসবে আগের থেকে।সে জন্যই বলি গরম পানি পানের উপকারিতা অনেক।আর সবথেকে ভালো একটা বিষয় হলো


আপনি যদি প্রতিদিন সকালে কিংবা খাবার ৩০ মিনিট আগে কিংবা ৩০ মিনিট পরে কুসুম গরম পানি পান করেন আপনার শরীরের সকল বিষাক্ত পদার্থ গুলো বের হয়ে যাবে।এতে আপনার শরীরের সকল প্রকার রোগ জীবাণু থেকে সুরক্ষার রাখবে।আপনার ত্বক খসখসে এবং ত্বকের যদি উজ্জ্বলতা না আসে তাহলে আপনি গরম পানি পান করতে পারেন এটা আপনার উপকারিতা আসবে।

যাদের অতিরিক্ত মেদ ভুড়ি তাদের জন্য হালকা কুসুম গরম পানি অনেকটা উপকারী।এর আগেও বলেছি গরম পানির উপকারিতা অনেক। প্রতিদিন সকালে হালকা কুসুম গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস যে মিশ্রণ করে খালি পেটে পান করতে হবে। যাদের অতিরিক্ত ওজন কিংবা শরীরে অনেক চর্বিযুক্ত তাদের জন্য এটা অনেকটা উপকারী কেননা এটাই অনেকটা ওজন কমায়।

৪.কি পরিমাণ গরম পানি পান করা উচিত

প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষন পড়ছিলেন গরম পানি পানের উপকারিতা-অপকারিতা।কিন্তু কি পরিমাণ গরম পানি পান করা উচিত এটা হয়তো অনেকেই জানেন না।তাই এখন আপনাদের কাছে জানাবো কি পরিমাণ গরম পানি পান করা উচিতএবং কখন তা পান করা উচিত সেজন্য আপনি মনোযোগ সহকারে আমার আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

একটি সুস্থ মানুষের প্রতিদিন সকালবেলা খালি পেটে প্রায় এক লিটারের মতো কুসুম কুসুম গরম পানি পান করা উচিত।তবে আরেকটি বিষয় ১৮ বছর বয়সের নিচে আস্তে আস্তে পানি খাওয়ার পরিমাণটা কমবে। আপনি ছোট বাচ্চাদের ও সকাল বেলাতে কিছু না হলে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করাবেন এতে ছোট বাচ্চার ও শরীরের রোগ জীবাণু দূর করবে।

এবার জেনে নেওয়া যাক কখন কখন আপনি গরম পানি পান করবেন। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর হালকা কুসুম গরম পানি পান করবেন পানি পান করার ৩০ মিনিট পর সকালের নাস্তা করবেন। আবার আপনি দুপুরে খাবার ৩০ মিনিট আগে কিংবা ৩০ মিনিট পরে আপনি কুসুম গরম পানি পান করতে পারেন মনে রাখবেন খাবার সময় পানি পান করা থেকে বিরত থাকবেন।

৫.শেষ কথা-গরম পানি পানের উপকারিতা – অপকারিতা 

প্রিয় পাঠক আজকে আমার এই আর্টিকেল এ যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো শেষবারের মতো দেখে নেওয়া যাক। গরম পানি পানের উপকারিতা, গরম পানি পানির অপকারিত, গরম পানি পান করলে কোন কোন রোগ ভালো হয, কি পরিমান গরম পানি পান করা উচিত, আশা করি আজকের আমার এই পোস্টটি আপনার একটু হলেও সাহায্য করবে। এতক্ষণ আমার আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Leave a Comment