টনসিল কি।। টনসিলের লক্ষণ ।। টনসিলের খাবার তালিকা

টনসিল একটি জটিল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকি। টনসিল সাধারণত ৪ থেকে ১৫ বছরের বাচাদের বেশি হয়ে থাকে। তবে এর বেশি বয়সের মানুষের হয় না তা নোই সকল বয়সের মানুষের এই রোগ টি হয়ে থাকে। তবে মূলত বাচাদের এই রোগটি বেশি দেখা যাই। টনসিল এক ধরণের লসিকাগ্রন্থি বা লিম্ফয়েড টিস্যু। এতে কোনধরের ইনফেকশন বা প্রদাহ হলে ডাক্তার এই ধরণের সমস্যাকে টনসিলাইটিস বলে থাকে। এটি হলো মানব দেহের গলার ভেতরে দুপাশে একজোড়া প্যালাটিন টনসিল থাকে টনসিলের প্রদাহ বলতে ডাক্তার এর মোতে ইনফেকটনকেই বোঝাই। ডাক্তার এর মোতে টনসিল হবার জন্য ভাইরাস এবং বেক্টেৰিয়ার জন্য হয়ে থাকে। বেক্টেরিয়ার ক্ষেত্রে প্রধানত বিটা হেমোলাইটিক স্ট্রেপ্টোকক্কাস দিয়ে হয়। এই ইনফেকশন এর হবার অন্নান্য কারণ হচ্ছে ঘন ঘন ঠান্ডা সর্দি লেগেথাকা ,পুষ্টিহীনতা ,পরিবেশ দূষণ , দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি এবং অববহওয়া পরিবর্তন এর কারণে হয়ে থাকে।সেই জন্য আমাদের সচেতন থাকতে হবে। সমানিত পাঠক আমরা এখন আমরা জানবো টনসিল হলে কি কি লক্ষণ দেখা যাই । চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই।

আরো পড়ুন : কিভাবে স্থায়ীভাবে ফর্সা ত্বক

জ্বর

শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে এটি টনসিলের একটি সাধারণ লক্ষণ।

ফোলা টনসিল

এটি হলো গলার সংক্রামণের উল্লেখযোগ্য লক্ষণ গুলির মধ্যে একটি বিশেষ বিষয়। এটি অ্যাডেনোভাইরাস এবং অন্নান্য অনেক ভাইরাসের আক্রমণের কারণে ঘটে যা টনসিলের ক্ষতি করে থাকে। এর কারণে আক্রান্ত বেক্তি খবর ও পানি পানকরতে পারে না কারণ খাবার বা পানি পান করার সময় অনেক ব্যথা অনুভব হয়ে থাকে। টনসিলাইটিসের চিকিৎসা নিতে দেরি হলে এই অবস্থায় আক্রান্ত ইস্তানে এর মানে গলাতে লালভাব দেখা দিতে পারে। 

হলুদ/সাদা আবরণ

টনসিল টিস্যুর মধ্যে ধ্বংসাবশেষ এবং পাথর আটকে যাবার কারণে এটি হয়ে থাকে। এই হলুদ ধ্বংসাবশেষ এবং পাথর গলা ব্যথা ,চুলকানি ,লালচেভাব এবং এবং পানি পান করতে অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে থাকে। টনসিল এর উপর একটি হলুদ বা সাদা আবরণ এর জায়গা সনাক্ত করতে পারে। এই ধরণের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ দিয়ে ওষুধ খেতে হয়। 

গিলে ফেলার সময় অসুবিধা

এই সমস্যার কারণে রুগী ঠিক ভাবে খাবার এবং পানি ঠিক ভাবে খেতে বা পান করতে পারেন না। সেই ক্ষেত্রে রুগীর অনেক কষ্ট হয়ে যাই। 

গলা ব্যথা-

এই ব্যথার কারণে রুগীর অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এটি হলো টনসিল এর একটি বোরো লক্ষণ। এই ধরণের ব্যথার সম্মুখীন শুধু বাঁচার না প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রেও একই সমস্যা হয়ে থাকে। 

নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ

এর কারণে গলায় সংক্রমণের ফলে শ্বাস দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে থাকে। 

কোমল লিম্ফ নোডস-

ঘারের লিম্ফ নোডগুলি কোমল,বর্ধিত এবং স্পর্শের জন্য সংবেদনশীল হতে পারে যা সংক্রামণের প্রতি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্দেশ করে। 

মাথাব্যথা

টনসিলের কারণে অনেক মাথা ব্যথা হয়ে থাকে যা অসজ্জনীও হয়ে পরে অনেক সময়। সেই ক্ষেত্রে আমাদের ডাক্তারের পরামশ নেয়া উচিত 

কণ্ঠ পরিবর্তন

টনসিলের কারণে আপনার কথা বলার কণ্ঠ মোটা বা চিকন হতে পারে। 

ক্লান্তি

টনসিলের কারণে ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভব হতে পারে এটি একটি লক্ষণ। 

ঠান্ডা

তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ সংক্রামণের প্রভাব শরীরের প্রতিক্রিয়া হিসেবে জ্বরের পাশাপাশি কাঁপুনি ঠান্ডা লাগে।

আরো পড়ুন : বাংলাদেশে ইরেক্টিল ডিসফাংসন জন্য ভাল ঔষধ কোনটা বিস্তারিত জানুন

টনসিল হলে কি কি খেতে হবে 

আমাদের শরীরে কোনো ধরণের রোগ হলে এমনিতেই আমাদের কোনো ধরণের খাবার খাবার কোনো রুচি থাকে না। তার পরে যদি হয় টনসিল এই রোগ হলে তো খাবার কোনো ভাবেই আমরা খেতে পারি না। কেন না টনসিল হলে আমাদের গলা ব্যথা হয়ে থাকে সেই ফলে আমরা যে কোনো খাবার খেতে যাই না কেন আমরা খেতে পারি  না। সেই জন্য এই সময়ে আমাদের যতটুকু সম্ভব পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। টনসিলাইটিস হলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে বেশি বেশি তরল খাবার খেতে হবে। ভিটামিন ও মিনারেল যুক্ত খাবার টনসিল এর প্রভাব কমাতে অনেক উপযোগী। 

আরো পড়ুন : অন্ডকোষের রগ ফুলে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

টনসিলের প্রদাহ দূর করতে বিশেষভাবে সহায়ক কিছু খাবারের তালিকা দেয়া হলো।

১) মধু 

এই এমন একটি খাবার যা ভাইরাস এবং বেক্টেৰিয়া পতিরোধে অনেক উপযোগী। 

২)দই 

দই তে অধিক পরিমানে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং হেলদি ফ্যাট থাকে।

৩)ডিম 

ডিমে প্রচুর পরিমান ভিটামিন ডি ,ভিটামিন বি ১২,জিংক ,আয়রন , সেলেনিয়াম ও আরো অনেক ধরণের পুষ্টিকর উপাদান থাকে সেই জন্য ডিম খায়া অনেক ভালো। 

৪) অদা 

আদাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি গুন সমৃদ্ধ উপাদান। যা ব্যথা এবং সংক্রমণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ  ভুমিকা পালন করে।

Leave a Comment