তালাকের কতদিন পর বিয়ে করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত

প্রিয় পাঠক আপনি কি তালাকের কতদিন পর বিয়ে করা যায় এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান। তাহলে আমার এই আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন। কেননা আমার আজকের এই আর্টিকেলটি মূল বিষয় হলো তালাকের কতদিন পর বিয়ে করা যায় এই নিয়ে বিস্তারিত। ত চলুন আপনার মূল্যবান সময় না করে শুরু করা যাক তালাকের কতদিন পর বিয়ে করা যায় সম্পর্কে বিস্তারিত।

তালাকের কতদিন পর বিয়ে করা যায় বিস্তারিত জেনে নিন
আমার এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আরো জানতে পারবেন ডিভোর্সের কতদিন পর বিয়ে করা যায় এবং কি কি কারনে স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে সম্পর্কে বিস্তারিত। তাই শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো।

পেজ সূচিপত্রঃতালাকের কতদিন পর বিয়ে করা যায়

তালাকের কতদিন পর বিয়ে করা যায়

তালাকের পর অনেকের মুখে শোনা যায় ৩মাস পর বিবাহ করা যায়। তবে ছেলেদের ক্ষেত্রে আলাদা। ছেলেরা তালাকের পর ৩ মাসের ভেতরে বিবাহ করতে পারবে। তবে মেয়েরা তালাকের ৩ মাস পার না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ করতে পারবে না। কেননা তালাকের পরে মেয়ের গর্ভে সন্তান থাকলে সন্তান না হওয়া পর্যন্ত কিংবা সন্তান হবার পরে তা নিয়ে নানা রকম ঝামেলা সৃষ্টি হবে। সেজন্য মেয়েদের ক্ষেত্রে তালাকের তিন মাস পর বিয়ে করার আদেশ রয়েছে। অপরদিকে ছেলেদের তালাকের পর তিন মাসের ভেতরেই বিবাহ আবার নতুন করে করতে পারবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন তালাকের কতদিন পর বিয়ে করা যায়।

তালাক দেওয়ার পর আবার বিয়ে

আপনি যদি আপনার স্ত্রীকে বা কোনো স্ত্রী যদি তার স্বামিকে তালাক দিতে চায় তাহলে প্রথমে একটি তালাক দিতে হবে। এই তালাকের ৩ মাসের ভেতরে যদি তাদের ভুল বোঝা বুঝি ঠিক না হয়। তাহলে তাদের ২ তালাক এবং ৩ তালাক দিয়ে তাদের ভেতরের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে হবে। তবে যদি ১ তালাক দেওয়ার পরে তারা তাদের ভূল বুঝতে পারে। তারা যদি আবার এক হতে চায় ৩ মাসের আগে আবার তারা এক হতে পারবে।
আবার অন্য দিকে রাগের মাথায় ২ তালাক দেওয়ার ও যদি তারা আবার নতুন করে এক হতে চায়।তারা ৩ মাসের আগেই আবার এক সাথে সংসার করতে পারবে। তবে কোনো পুরুষ বা মহিলা রাগের মাথায় কিংবা যেকোনো কারণে এক সাথে ৩ টা তালাক দিলে তার পরে তারা যদি এক হতে চাই। এটা ইসলামের বিধানে আর এক হওয়া যাবে না। তাই আপনি রাগের মাথায় একবারে ৩ তালাক না দেওয়া ভালো। আশা করি বুঝতে পেরেছেন তালাক দেওয়ার পর আবার বিয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত।

ডিভোর্সের কতদিন পর বিয়ে করা যায়

বিবাহ মার্ধ্যমে একটি সুখের সংসার তৈরি হয়। তবে অনেক কারণে এই সংসার জীবনে এমন একটা পর্যায় চলে আসে। তাদের ভেতরে সমাধানের রাস্তা আসে ডিভোর্স। এবার এই ডিভোর্সের কতদিন পর বিয়ে করা যায় এটা নিয়ে অনেকে জানতে চায়। তাই আমি আজকে আপনাদের জানাবো ডিভোর্সের কতদিন পর বিয়ে করা যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত। আমাদের মুসলমানদের জন্য ইসলামের শরীয়ত অনুযায়ী ডিভোর্সের তিন মাস পর অর্থাৎ ৯০ দিন পর আবার নতুন করে বিয়ে করা যায়।তবে এ ক্ষেত্রে ছেলে এবং মেয়েদের মধ্যে আলাদা রয়েছে।
যেমন ধরুন ছেলেরা ডিভোর্সের তিন মাসের ভেতরেই কিংবা ডিভোর্সের পরেই আবার নতুন করে বিবাহ করতে পারবে।আর অপরদিকে মেয়েরা বিবাহের ৩ মাস পর বিয়ে করতে পারবে। কেননা মেয়ের পেটে আগের স্বামীর সন্তান আছে কিনা তা যাচাই করার জন্য ৩ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ডিভোর্সের ৩ মাস পর যদি মেয়ের পেটে যদি কোনো সন্তান না থাকে। তাহলে অন্য জায়গাতে বিয়ের পিরিতে বসতে পারবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন ডিভোর্সের কতদিন পর বিয়ে করা যায়।

কি কি কারনে স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে

আপনার সুখের সংসারে যদি অশান্তি শুরু হয়ে যায়। তখন এমন একটি পর্যায়ে আসে যেখানে তালাক হলো একমাত্র সমাধান। তবে তার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে কি কি কারনে স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে। আপনাদের ভেতরে যদি সিদ্ধান্ত হয়ে যায় তালাক দেওয়ার কিংবা স্বামী স্ত্রীকে বলল আমি তোমাকে তালাক দেবো অথবা স্ত্রী বলল স্বামীকে আমি তোমাকে তালাক দেবো। এক্ষেত্রে আপনি সর্বপ্রথম আপনার ঘরে নিজের বউ কিংবা নিজের স্বামীকে ভালোমতো বোঝানোর। আদর সোহাগ ভালো-মন্দ কথা বলে নিজেদের ভেতরে শুধরে নেওয়া।
যদি কাজ না হয় তাহলে আপনি তারপরে আপনাদের ভেতরে বিছানা আলাদা করে নিন। তাহলে এক জনে আরেক জনের অপরে ভালোবাসা বাড়বে তখন তালাক দেওয়া থেকে বিরত হতে পারে। এতেও যদি কাজ না হয় তাহলে তৃতীয় নম্বরে আপনি দুই পক্ষের মুরুব্বী দের নিয়ে সালিশ বসাবেন কিংবা বৈঠক করবেন। তারা আপনাদের দুজনের ভেতরে মীমাংসা করে দেবে। তবে এই তিনটা পদক্ষেপে যদি আপনাদের ভেতরে সম্পর্ক ঠিক না হয়। তাহলে আপনারা একে অপরকে তালাক দিতে পারেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

শেষকথা-তালাকের কতদিন পর বিয়ে করা যায়

প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষণ পড়ছিলেন তালাকের কতদিন পর বিয়ে করা যায় এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত। আশা করছি আমার এই আর্টিলেকটি পড়ে আপনার উপকারে আসবে। আমার এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করতে পারেন। আর যদি নতুন কোনো বিয়ষে তথ্য জানতে চাইলে আমাদের কমেন্ট করে জানতে পারেন।
আমার এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন তথ্য প্রযুক্তি লাইফ স্টাইল শিক্ষা স্বাস্থ্য চিকিৎসা আইন কানুন প্রবাসি তথ্য ও ইসলামিক বিষয় নিয়ে বাংলা ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল লেখা হয়। আপনি প্রতিদিন এমন টিপস পেতে চোখ রাখুন আমার এই টিপস পাবলিক ওয়েবসাইটে। ধন্যবাদ।

Leave a Comment