পলিসিস্টিক ওভারি সারানোর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক আপনি কি পলিসিস্টিক ওভারি সারানোর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন।তাহলে আমার আজকের এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য।আমি আজকে এই আর্টিকেলে পলিসিস্টিক ওভারি সারানোর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।ত চলুন পলিসিস্টিক ওভারি সারানোর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

পলিসিস্টিক ওভারি সারানোর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আরো জানতে পারবেন পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম কি এবং পলিসিস্টিক ওভারি লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।তাই শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।

পেজ সূচিপত্রঃপলিসিস্টিক ওভারি সারানোর ঘরোয়া চিকিৎসা 

পলিসিস্টিক ওভারি সারানোর ঘরোয়া চিকিৎসা

আপনারা অনেকে পলিসিস্টিক ওভারি সারানোর ঘরোয়া চিকিৎসা জন্য গুগলে সার্চ দিয়ে থাকেন।ত চলুন পলিসিস্টিক ওভারি সারানোর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।পলিসিস্টিক ওভারিকে সংক্ষেপে পিসিওডি বলে।পিসিওডি আর পিসিওএস এই দুই ক্ষেত্রে সমস্যা হয় হরমোনের হাত ধরে ঘটে তারতম্যের।সাধারণত প্রতি মাসে ডিম নির্গত হয় একটি বয়স অতিক্রম করার পর মেয়েদের ডিম্বাশয় থেকে।
দেহ থেকে রক্তের মার্ধ্যমে বের হয়ে যায় নিষেক না ঘটলে।নির্দিষ্ট রীতি মেনে হয় না পিসিওডির এই ডিম নির্গত হওয়ার নিয়মটি।এই অপরিনিত ডিম তাদের দেহে থেকে বের হতে পারেনা।সেই ডিম গুলো এক সময় জমাট হয়ে সিস্টের আকার নেয়।তরল এবং আধা তরল উপাদান দিয়ে তৈরি হয় ছোট ছোট টিউমারের আকারে দেখতে হয়।তবে ডিম্বাশয়ে যদি সিস্ট থাকলে ডিম্বাণু তা পুরোপুরি সম্পূর্ণ হতে পারে না।জরাযুর দিকে এগিয়ে যেতে পারে না ডিম্বাশয়ে ছড়িয়ে।
মেয়েদের প্রথমবারে ঋতুস্রাবের সাথে সাথে মেয়েরা সন্তান ধারণের ক্ষমতা লাভ করেন।এমন বয়সের পর যদি কোনো সময় মহিলাদের শরীরে হরমোনাল ইমব্যালান্স কিংবা হরমোনের ভারসাম্যে বিভিন্ন ধরণ দেখা যায়।পলিসিস্টিক ওভার সিনড্রোম বলতে বুঝায় জরায়ুতে সিস্ট তৈরি হয়,সেই অবস্থানকে বিজ্ঞানীরা পলিসিস্টক ওভার সিনড্রোম বলে।আশা করি বুঝতে পেরেছেন পলিসিস্টিক ওভারি সারানোর ঘরোয়া চিকিৎসা এ সম্পর্কে বিস্তারিত।

হরমোন বেশি হলে কি বাচ্চা হয় না

আপনাদের অনেকের জানা নেই হরমোন বেশি হলে কি বাচ্চা হয় না।তাই আমি আজকে আপনাদের জানাবো হরমোন বেশি হলে কি বাচ্চা হয় না।ত চলুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক।আমাদের দেহে হরমোন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালণ করে।এই হরমোনের জন্য বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। হরমোনের সমস্যার জন্য দেহে রক্ত বন্ধ না হওয়া,ছেলেদের দাড়ি না ওঠা,লম্বা না হওয়া ইত্যাদি।আমাদের শরীরের হরমন এমন একটা গ্রন্থি।
যা শরীরে বেশি থাকলে সমস্যা এবং কম থাকলেও সমস্যা দেখা যেতে পারে।হরমোন মেয়েদের ক্ষেত্রে ডিম্বাণু এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে শুক্রাণু দিকে বেশি প্রভাব পড়ে।তাই পরিশেষে বলা যায় যে আমাদের শরীরে হরমন বেশি হলে কিংবা কম হলে নানান সমস্যা দেখা যেতে পারে।এর কারণে অনেক সময় হরমোন বেশি হলে বাচ্চা হতেও সমস্যা হতে পারে।আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন হরমোন বেশি হলে কি বাচ্চা হয় না।

পলিসিস্টিক ওভারি লক্ষণ

আপনারা অনেকেই পলিসিস্টিক ওভারি লক্ষণ সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে সার্চ দিয়ে থাকেন।তাই আমি আজকে আপনাদের জানাবো পলিসিস্টিক ওভারি লক্ষণ কি।ত চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক পলিসিস্টিক ওভারি লক্ষণ গুলো।পলিসিস্টিক ওভারি একটি বড় লক্ষণ হলো নিয়মিত ভাবে ঋতুচক্র না হওয়া।মেয়েদের শরীরে হরমোন এর ভিন্ন তারতম্যের কারণে ঋতুচত্রু নিয়মিত হয় না।এমন কি এই কারণে বছরে দুই তিন দিন মাত্র ঋতুচক্র হতে পারে এক বছরে।আর এই কারণে বিবাহিত নারীর সন্তান জন্মদানের সমস্যা হতে পারে।পলিসিস্টিক ওভারি লক্ষণ বিস্তারিত
  • পলিসিস্টিক ওভারি এর কারণে মেয়েদের গর্ভবতী হওয়ার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
  • পলিসিস্টিক ওভারি কারণে মেয়েদের অধিক আকারে রক্তপাত হয়।যে মেয়েদের পিসিওএস-এ সমস্যা থাকে তাদের ভেতরে অনেকের নিয়মিত ভাবে পিরিয়ড মিস হয় তার জন্য দুই তিন মাস পর যখন তাদের পিরিয়ড হয় তখন তাদের অনেক হারে রক্তপাত হয় স্বাভাবিক এর তুলনায় বেশি।
  • পলিসিস্টিক ওভারি হলে মাথা ব্যথা হতে পারে।
  • আবার পলিসিস্টিক ওভারি এর কারণে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে কালো দাগ তৈরি হতে পারে।
  • পলিসিস্টিক ওভারি পুরুষ হরমোন অধিক হারে বেড়ে গেলে ছেলেদের বুক,পিঠ,মুখ শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোপ গজায়।
  • পলিসিস্টিক ওভারি এর কারণে মেয়েদের ওজন অধিক হাড়ে বাড়তে থাকে।আনুমানিক প্রায় ৮০% মেয়েদের দেখা গেছে পলিসিস্টিক ওভারি এর কারণে তাদের শরীরের ওজন বেশি।
প্রিয় পাঠক উপরুক্ত বিষয় গুলো হলো পলিসিস্টিক ওভারি লক্ষণ বা এমন সমস্যা গুলো যদি আপনার ভেতরে দেখা যায় তাহলে আপনি ভেবে নিবেন পলিসিস্টিক ওভারি হয়েছে।আশা করি বুঝতে পেরেছেন পলিসিস্টিক ওভারি লক্ষণ কোন গুলো।

পলিসিস্টিক ওভারি কেন হয়

আমার আজকের এই আর্টিকেল এর মূল বিষয় হলো পলিসিস্টিক ওভারি সারানোর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত।এবার আপনাদের জানবো পলিসিস্টিক ওভারি কেন হয়।আমার এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহলে আশা করি পলিসিস্টিক ওভারি সম্পর্কে সকল তথ্য বিস্তারিত জানতে পারবেন।ত চলুন জেনে নেওয়া যাক পলিসিস্টিক ওভারি কেন হয়।তার আগে আপনাকে বলি পলিসিস্টিক ওভারি কাকে বলা হয়।পলিসিস্টিক ওভারি হলো ডিম্বাশয়ের মাঝের সিস্ট।পলিসিস্টিক ওভারি হয় ফ্যাট যুক্ত বা তেল যুক্ত খাবার অতিরিক্ত খাবার খেলে।আর অনেকে সময় পারিবারিক বংশগতির কারণে এটা হতে পারে।আশা করি বুঝতে পেরেছেন পলিসিস্টিক ওভারি কেন হয়।

ওভারি সিস্ট দূর করার উপায়

ওভারি সিস্ট দূর করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের অনেকের হয়তো জানা নেই।তাই আমি আজকে আপনাদের জানাবো ওভারি সিস্ট দূর করার উপায়।ত চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক ওভারি সিস্ট দূর করার উপায় গুলো।প্রিয় পাঠক আপনাদের উপরে বিস্তারিত উল্লেখ করেছি পলিসিস্টিক ওভারি লক্ষণ গুলো।আপনার যদি লক্ষণ গুলো মিল থাকে তাহলে মনে করবেন পলিসিস্টিক ওভারি বেড়ে গেছে।
ওভারি সিস্ট দূর করার জন্য আপনাকে প্রথমে নিজের শরীরের ওজন কমাতে হবে।তার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকাতে ফ্যাট যক্ত বা তেল যুক্ত খাবার বাদ রাখতে হবে।আর আপনার যদি সে লক্ষণ গুলো না দেখা যায়।তবুও আগে থেকে নিজের প্রতি সতর্ক থাকা ভালো।সে সাথে আপনি ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে পারেন।আশা করি বুঝতে পেরেছেন ওভারি সিস্ট দূর করার উপায়।

শেষ কথা-পলিসিস্টিক ওভারি সারানোর ঘরোয়া চিকিৎসা 

প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষণ পড়ছিলেন পলিসিস্টিক ওভারি সারানোর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত।আশা করছি আমার আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনার উপকারে আসবে।আমার পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করতে পারেন।আর যদি নতুন কোনো তথ্য সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।কেননা আমাদের এই ওয়েবসাইডে প্রতিদিন তথ্য প্রযুক্তি,লাইফ স্টাইল,শিক্ষা,স্বাস্থ্য-চিকিৎসা,আইন কানুন,প্রবাসি তথ্য ও ইসলামিক বিষয় নিয়ে বাংলা ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল লেখা হয়।
এতক্ষণ আমার এই পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ।সবশেষে আপনাদের সবার সুস্বাস্থ কামনা করছি।আর আপনি যদি পলিসিস্টিক ওভারি সারানোর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে আমাদের থেকে ভালো কিছু জানেন তাহলে আমাদের কে জানাতে পারেন।

1 thought on “পলিসিস্টিক ওভারি সারানোর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন”

Leave a Comment