পাতলা পায়খানা হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে

প্রিয় পাঠক আপনি কি পাতলা পায়খানা হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান। তাহলে আমার আজকের এই আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন। আমার এই আর্টিকেলে আপনাদের কাছে আলোচনা করবো পাতলা পায়খানা হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে তার বিস্তারিত। তাই আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে চলুন শুরু করা যাক পাতলা পায়খানা হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে।

পাতলা পায়খানা হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে
আমার এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি আরো জানতে পারবেন পাতলা পায়খানা হলে কি খাবার খেতে হবে এবং বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত। তাই শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো।

পেজ সুচিপত্রঃ পাতলা পায়খানা হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে

পাতলা পায়খানা হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে

আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য খাওয়া প্রয়োজন। এই খাবারে যদি কোন রকমে ভেজাল কিংবা কোন জীবাণুসহ আমাদের পেটে যায় তাহলে আমাদের তখন পাতলা পায়খানা কিংবা ডায়রিয়া হয়। এবার আপনাদের জানাই ডায়ডিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে আমাদের শরীরে কি হয়। প্রথমত ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে আমাদের শরীর থেকে অনেকটা পানি এবং লবণ ও খনিজ পদার্থ গুলো চলে যাচ্ছে। যার ফলে আপনার শরীর অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে।পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়ার জন্য আমাদের শরীরে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে পানি শূন্যতা।
তাই আমাদের সর্বপ্রথম পানি শূন্যতা দূর করতে হবে। যেহেতু আমার আজকের এই আর্টিকেলের মূল বিষয় হলো পাতলা পায়খানা হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে তা নিয়ে বিস্তারিত। সে অনুসারে প্রথমে জানাই পাতলা পায়খানা হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে। আপনি ভাতের সঙ্গে কাঁচা কলা খেতে পারেন পাতলা পায়খানা হলে। তাছাড়া ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানার জন্য সবচেয়ে উপকারী হল ডাবের পানি।

পাতলা পায়খানা হলে কি খাবার খেতে হবে

প্রিয় পাঠক আপনাদের ভিতরে অনেকের মনের প্রশ্ন পাতলা পায়খানা হলে কি খাবার খেতে হবে। কেননা পাতলা পায়খানা হলে আপনি কোন খাবার খাবে এবং কোন খাবার পরিহার করবেন এটা নিয়ে অনেক সময় দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। তাই আপনার যদি জানা থাকে পাতলা পায়খানা হলে কি খাবার খেতে হবে তাহলে নিশ্চয়ই আপনার খুব উপকার আসবে এবং পাতলা পায়খানা ভালো হয়ে যাবে। তবে তার আগে আপনাকে জানতে হবে পাতলা পায়খানা হলে আমাদের শরীরে কি কি উপলব্ধি করা যায়। সর্ব প্রথমে বলি পাতলা পায়খানা হলে আমাদের শরীর থেকে অনেকটা পানি বের হয় তার পাশাপাশি লবণ এবং খনিজ পদার্থ বের হয়ে যায়।
যার কারণে আমাদের শরীর আগের তুলনায় অনেকটা দুর্বল হয়ে যায়। সে সময় আপনার শরীরকে ঠিক রাখার জন্য খাবার স্যালাইন কিংবা সাধারণ পানি পান করতে হবে।পাতলা পায়খানা হবার পর পরই আপনি খাবার স্যালাইন খেতে পারেন। মনে রাখবেন স্যালাইন বানানোর পর ১২ ঘণ্টার রাখার পরে আর খাওয়া যাবে না তাই আপনি পায়খানা হবার পরে এসে স্যালাইন বানিয়ে তখনি খেয়ে নিবেন। তার পাশাপাশি আপনি ডাবের পানি পান করতে পারেন। এছাড়াও আপনি ভাতের সঙ্গে কাচা করলা খেতে পারেন।
অন্য সময় যাদের কোষ্ঠকাটিষ্ট হয় তাদেরকে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার উপদেশ দেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে আপনার পাতলা পায়খানা হলে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অর্থাৎ শাকসবজি খাওয়া কমাইতে হবে। কোন প্রকার ফাস্টফুড কিংবা কোনো কোমল পানীয় খাওয়া যাবেনা। আপনার পাতলা পায়খানা কিংবা ডায়রিয়া হলে সবচেয়ে বেশি উপকার করবে খাবার স্যালাইন এবং ডাবের পানি।

পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি

প্রিয় পাঠক আপনাদের সাথে এতক্ষণ আলোচনা করছিলাম পাতলা পায়খানা হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে তা নিয়ে বিস্তারিত। ইতিমধ্যে আপনারা নিশ্চয়ই ভালোমতো বুঝতে পেরেছেন পাতলা পায়খানা হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে। এবার আপনাদের জানাবো পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি। আপনার পাতলা পায়খানা হলে খাবারের পাশাপাশি কিছু করণীয় রয়েছে। যেমন খাবারের সাথে রোগ জীবাণু আমাদের পেটে যাওয়ার কারণে সাধারণত পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া হয়। আবার অনেক সময় খাবারের ভেজাল থাকলে সেখান থেকে পাতলা পায়খানা হতে পারে।
তাই আপনাকে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।তবে আপনার যদি পাতলা পায়খানা হয় তবে আপনার করণীয় হবে নিজেকে সঠিক পরিমাণে বিশ্রাম নেওয়া। এর ফলে আপনার শরীরটা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। আপনার পোশাক বা আশেপাশের কোন কাপড়ে যদি বমি কিংবা পায়খানার স্পর্শ লাগে তাহলে সেগুলো আপনি গরম পানি দিয়ে ভালোমতো পরিষ্কার করে নিবেন। আপনার যদি পাতলা পায়খানা হয় তাহলে আপনি অন্যদের রান্না করা থেকে বিরত থাকবেন।
নিজের পোশাক খাবার থালা-বাসন, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুলো অন্যকে স্পর্শ করতে দেবেন না।পায়খানা শেষ করে আপনি প্রতিবার সাবান দিয়ে ভালোমতো হাত পরিষ্কার করে নিবেন। এক কথায় নিজেকে সব সময় জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। তার পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে আপনার যেন পানি শূন্যতা অতিরিক্ত না হয়। সেজন্য আপনার প্রতিবার পায়খানা হওয়ার পরপরই খাবার ওরস্যালাইন বানিয়ে খেয়ে নেবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি এর বিস্তারিত।

ডায়রিয়া হলে করণীয় কি

শুধু পাতলা পায়খানা হলে যে আপনার ডায়রিয়া হয়েছে বিষয়টি এমন নয়। দিনে তিন থেকে চার বার পাতলা পায়খানা হলে তবেই ডাক্তারের মতে তাকে ডায়রিয়া বলে। ডায়রিয়া হলে করণীয় কি তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেন। তাই আমি আজকে আপনাদের জানাবো ডায়রিয়া হলে করণীয় কি তা নিয়ে বিস্তারিত। আপনার ডায়রিয়া হলে এটা নিয়ে অবহেলা না করে আপনি বাড়িতে বসেই এর প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে পারেন। ডায়রিয়া হলে আপনার শরীর থেকে অনেক পরিমানে পানি এবং লবণ বের হয়ে যায়।
যার ফলে আপনার শরীরে পানি শূন্যতা দেখা যায় পানি শূন্যতা অতিরিক্ত মাত্রায় হলে মৃত্যুর পর্যায়ে আপনাকে নিয়ে যেতে পারে। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এটা নিয়ে অবহেলা করার বিষয় নয়। ডায়রিয়া হলে আপনার শরীর থেকে লবণ এবং খনিজ বের হয়ে যায় যার কারণে আপনার শরীর অনেকটা দুর্বল হয়ে যায়। সেজন্য আপনি খাবার ওরস্যালাইন পায়খানার পরপর খেতে পারেন। এতে করে পানি শূন্যতা দূর হবে আপনার শরীরে বের হয়ে যাওয়া লবণের ঘাটতি পূরণ করবে।
নিজেকে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জীবাণু মুক্ত রাখার চেষ্টা করবেন। কেননা ডায়রিয়া জীবাণুর মাধ্যমে ছড়ায় আপনার পোশাক গরম পানি দিয়ে ভালোমতো পরিষ্কার করে নিবেন। আপনার থালা বাসন আলাদা রাখবেন। ডায়রিয়া হলে যেহেতু শরীর দুর্বল হয়ে যায় সেজন্য আপনি এই সময়ে বিশ্রাম নিবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন ডায়রিয়া হলে করণীয় কি।

বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি

প্রিয় পাঠক এবার আপনাদের জানাবো বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি তা নিয়ে বিস্তারিত। বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হলে তাদের কোন প্রকার ফাস্টফুড খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। যেহেতু তারা ছোট সেজন্য আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে তাকে যেন কোনোভাবেই জীবাণু আক্রমণ না করে। তাকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন। ডায়রিয়া হলে বা পাতলা পায়খানা হলে বাচ্চাদেরও খাবার স্যালাইন খাওয়াতে পারেন। বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম সে ক্ষেত্রে তাদেরকে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে। তবে হালকা পরিমাণ পাতলা পায়খানা এটা বাচ্চাদের জন্য স্বাভাবিক তবে অতিরিক্ত হলে আপনি অতি দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

পাতলা পায়খানার ঘরোয়া চিকিৎসা

আপনার যদি পাতলা পায়খানা হয় তাহলে এটা নিয়ে অবহেলা না করে আপনি বাড়িতে বসে পাতলা পায়খানার ঘরোয়া চিকিৎসা করতে পারেন। কেননা আপনার পায়খানা হলে আপনার শরীরে অনেকটা পানি শূন্যতা দেখা যায় এ পানি আপনার মৃত্যু পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। তাই এটাকে অবহেলা না করে আপনি প্রথমত পাতলা পায়খানার ঘরোয়া চিকিৎসা নিতে পারেন তাহলে আশা করা যায় ভালো হয়ে যাবে।
সেজন্য প্রথমে আপনি পানি শূন্যতা দূর করার জন্য খাবারের স্যালাইন খাবেন তার পাশাপাশি পানি জাতীয় খাবারই খেতে পারেন।ডাবের পানি অনেকটা উপকারী ডায়রিয়া রোগের জন্য কেননা এতে পানি শূন্যতা দূর করে। ডায়রিয়া হলে আমাদের শরীর থেকে পানি এবং লবণ-খনিজ পদার্থ বের হয়ে যায় যার ফলে আমাদের শরীরের অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই এ সময় আপনাকে বিশ্রাম নিতে হবে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বা শাকসবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কিছুদিন।
যেহেতু যে কোন মাধ্যমে জীবাণু কেটে যাওয়ার কারণে আমাদের পাতলা পায়খানা হয় সে ক্ষেত্রে আপনাকে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং জীবন মুক্ত থাকতে হবে। কাপড় গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। পায়খানা শেষে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। এতে যদি আপনার ডায়রিয়া না কমে তাহলে আপনি অতি দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন পাতলা পায়খানার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত।

শেষকথা-পাতলা পায়খানা হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে

প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষণ পড়ছিলেন পাতলা পায়খানা হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত। আশা করছি আমার আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার উপকারে আসবে। আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করতে পারেন।

আর যদি নতুন কোন বিষয়ে তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। প্রতিদিন এমন তথ্য পেতে চোখ রাখুন আমার এই টিপস পাবলিক ওয়েবসাইটে। এতক্ষন আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Leave a Comment