বাচ্চাদের কৃমির ঘরোয়া চিকিৎসা বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকে গুগলে সার্চ দিয়ে থাকেন বাচ্চাদের কৃমির ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে।তো আজকে আমি আপনাদের বাচ্চাদের কৃমির ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। তো চলুন বিস্তারিত জানাজাক বাচ্চাদের কৃমির ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে।

বাচ্চাদের কৃমির ঘরোয়া চিকিৎসা বিস্তারিত জানুন

আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আরো জানতে পারবেন বাচ্চাদের কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ানোর নিয়ম।

পেজ সূচিপত্রঃবাচ্চাদের কৃমির ঘরোয়া চিকিৎসা বিস্তারিত জানুন

কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

কৃমির ট্যাবলেট আপনার জন্য অতি প্রয়োজনীয়। কারণ আপনার পেটের ভেতর যদি কৃমি থাকে তাহলে আপনার রক্তের শূন্যতা দেখা দিবে। সুতরাং আপনি কৃমির ওষুধ খাবেন। এই কৃমির ওষুধ ভরা পেটে খেতে হবে। কারণ ভরা পেটে এই ওষুধ খেলে বেশি উপকার হবে। যেদিন আপনি এই ওষুধ খাবেন সেদিন আপনার খাবারে চর্বি জাতীয় বা তেল বেশি থাকতে হবে। তাহলে আপনার এই ওষুধ বেশি কাজে লাগবে। দুই বছর পর থেকে সবাই কৃমির ওষুধ খেতে পারবে। ৬ মাস পরপর কৃমির ঔষধ খাইতে হবে। গরম ঠান্ডা যেকোনো সময়ে কৃমির ঔষধ খাওয়া যাবে।

শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

সাধারণত এক বছরের নিচে বাচ্চাদের কৃমির ওষুধ খাওয়ানো যাবে না। কোন প্রমাণ থাকে যে বাচ্চাটি কৃমিতে আক্রান্ত আছে। যেমন- বাচ্চাটি ঘুমালে পিছনের দিকে হাত দিয়ে খুব চুলকায় এটা একটা লক্ষণ হতে পারে। এক বছরের উপরে হলে বাচ্চাকে কৃমির ঔষধ দেওয়া যাবে। কারণ এক বছরের পরে কৃমির ঔষধ বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ।
সাধারণত বাচ্চাটির যদি মাটিতে খেলার অভ্যাস থাকে সেক্ষেত্রে চার মাস পর কৃমির ঔষধ খাওয়ানো যাবে। কিন্তু বাচ্চাটি যদি এমন হয় সে মাটিতে যায় না মাটিতে হাটে না বা মাটিতে খেলে না সে ক্ষেত্রে ছয় মাস পর পর কৃমির ঔষধ দেওয়া যাবে।

গুড়া কৃমির ঔষধের নাম

গুড়া কৃমি শিশুদের যেমন আছে তেমনি তরুণ তরুণীদের আছে বড়দের আছে যারা বয়স্ক বৃদ্ধি তাদেরও আছে। এটা একটা বড় সমস্যা রয়ে গেছে। গুড়া কৃমির মূল কারণ পাবলিহেল্প প্রবলেম। আমরা যে পানি খাই সে পানি নিরাপদ নয়,আমরা যে স্বাস্থ্য পরিচালনা করি সেটা ঠিক নয়,নখ পরিষ্কার করি না,হাত ধুইনা,খাবার যেখান থেকে ইচ্ছা সেখান থেকে নিয়ে খায়।
আমরা ফাস্টফুডে বেশি অভ্যস্ত হচ্ছি বিভিন্ন সোর্স রয়েছে যার মাধ্যমে এই গুড়া কৃমির ডিম পেটের মধ্যে খাবারের সঙ্গে চলে যাই।গুড়া কৃমি কিন্তু আমাদের রক্ত খেয়ে ফেলে। গুড়া কৃমির ঔষধ সরকারি পর্যায়ে যেটা ব্যবহার করা হচ্ছে অ্যালবেন্ডাজল এবং বাজারে অ্যালম্যাক্স পাওয়া যায়। অ্যালম্যাক্স ২হান্ড্রেড মিলিগ্রাম ৪ হান্ড্রেড মিলিগ্রাম।

বাচ্চাদের কৃমি হওয়ার লক্ষণ

কৃমি বড় ছোট সবারই হয় এবং বাচ্চাদের একটু বেশি হয়। বাচ্চাদের কৃমি হলে সমস্যা যেটা হবে বাচ্চাদের ক্ষুধা বন্ধ হয়, পেট ফাঁপা থাকে। দেখা যায় অনেক মায়েরা এসে বলে আমার ছেলের পেটটা বড় শরীর তো ছোট এবং অনেক বাচ্চা আছে দিনে চার থেকে পাঁচ বার পায়খানা করে। বদহজম বদহজম হচ্ছে তখন আপনি বুঝতে পারবেন বাচ্চাদের কৃমি হয়েছে। আপনার বাচ্চার যদি ঠিকমতো শারীরিক বৃদ্ধি না হয় অর্থাৎ তার ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে না এবং উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে না এর কারণ হলো কৃমির লক্ষণ।

বাচ্চাদের কৃমি হলে কি খাওয়া উচিত

প্রিয় পাঠক আমার আজকের এই আর্টিকেল এর মূল বিষয় বাচ্চাদের কৃমির ঘরোয়া চিকিৎসা বিস্তারিত।ত এবার আমরা জানবো বাচ্চাদের কৃমি হলে কি খাওয়া উচিত।কৃমি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খাওয়ানোর পাশাপাশি কিছু বাড়তি খাবার খাওয়াতে পারেন। যেমন ধরুন কাঁচা পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণ এনজাইম আছে। এটা আমাদের কৃমিনাশক হিসেবে অনেক ভালো কাজ করে।
তারপর আপনি রসুন খেতে পারেন।রসুনে আছে কৃমিনাশক এজেন্ট আর পরজীবি কৃমি জন্য অনেক ভালো কার্যকর উপাদান।মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়াতে পারেন।করলা খাওয়াতে পারেন এবং সিমের বীজ খাওয়াতে পারেন।সে সাথে গাজর এবং জল ও মধু মিশিয়ে শিশুকে খাওয়াতে পারেন।

গুড়া কৃমির ঘরোয়া চিকিৎসা

মানুষের কিছু ভুল এর কারণে গুড়া কৃমি হয়।সব সময় অপিষ্কার অপরিচ্ছন্ন থাকার কারণে গুড়া কৃমি হয়। আমরা অনেকেই খালি পায়ে টয়লেটে যায়,আবার টয়লেট শেষে আমরা সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করি না।আর এগুলোর কারণে গুড়া কৃমি আমাদের পেটে হয়ে যায়।তাই আমি আপনাদের বলবো নিজেকে সবসময় পরিষ্কার রাখবেন।
গুড়া কৃমি আক্রান্ত পশু পাখি হাত দিয়ে না ধরা।আবার আমরা অনেকে পুকুর বা নদীর পানিতে গোশল করি। তবে আমাদের এটা জানা নেই যে এই পানি কতটুকু জীবাণুমুক্ত।এই অপিষ্কার পানিতে গোশল করার কারণে আমাদের গুড়া কৃমি হতে পারে।তাই আমাদের উচিত এগুলো থেকে বিরত থাকতে।

বাচ্চাদের কৃমি তাড়ানোর ঘরোয়া উপায়

আমাদের অনেকের জানা নেই বাচ্চাদের কৃমির ঘরোয়া চিকিৎসা।আজকের আমার এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়লে বুঝতে পারবেন বাচ্চাদের কৃমির ঘরোয়া চিকিৎসা এ সম্পর্কে বিস্তারিত।ছোট বাচ্চাদের কৃমির সমস্যা অনেকে দেখা যায়।আমরা অপরে জেনেছি বাচ্চাদের কৃমি রোগ হবার মূল কারণ হলো সব সময় অপরিষ্কার থাকার কারণে।সেক্ষেত্রে বাচ্চারা তো সব সময় ধুলাবালি নিয়ে খেলা করে।তাই সবচেয়ে বেশি বাচ্চাদের কৃমি রোগ দেখা যায়।তাই আমাদের উচিত বাচ্চাদের সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবো।

বাচ্চাদের কৃমির ঔষধের নাম

আমরা এতক্ষণ পড়ছিলাম বাচ্চাদের কৃমির ঘরোয়া চিকিৎসা বিস্তারিত।এখন আমরা পড়বো বাচ্চাদের কৃমির ঔষধের নাম।ত চলুন জেনে নেওয়া যাকবাচ্চাদের কৃমির ঔষধের নাম।বাচ্চাদের কৃমির লক্ষণ দেখা দিলে আপনি অ্যালবেনডাজোল চা চামচ এর ২ চামচ করে খাওয়াবেন দিনে ২ বার।তাছাড়া বাচ্চার বয়স যদি বেশি হয়।তাহলে আপনি পাইরেনটাল পারমোট ১ চা চামচ খাওয়াবেন।তাছাড়া আরো কিছু ঔষধ রয়েছে তার মর্ধে কিছু নাম ঊল্লেখ করা হলো Almex,Estazol Tablet,Albezen Tablet এগুলো খাওয়াতে পারেন।

শেষকথা-বাচ্চাদের কৃমির ঘরোয়া চিকিৎসা বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক আপনার এতক্ষণ পড়ছিলেন বাচ্চাদের কৃমির ঘরোয়া চিকিৎসা বিস্তারিত।আজকে আমার এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি অনেক ভালো মত বুঝতে পারবেন বাচ্চাদের কৃমির ঘরোয়া চিকিৎসা বিস্তারিত।আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়্রে আপনার উপকারে আসবে।
আমার এই ওয়েবসাইডে প্রতিদিন তথ্য প্রযুক্তি,লাইফ স্টাইল,শিক্ষা,স্বাস্থ-চিকিৎসা ও ইসলামিক বিষয় নিয়ে বাংলা ব্লগ পোস্ট লিখা হয়।তাই প্রতিদিন নতুন নতুন টিপস পেতে আমার ওয়েবসাইডে ভিজিট করবেন।এতক্ষণ আমার এই পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Comment