বাচ্চাদের প্রসাবের রাস্তায় চুলকানি কেন হয় বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক বাচ্চাদের প্রসাবের রাস্তায় চুলকানি কেন হয় বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন।তাহলে আমার আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।কেননা আমার আজকের এই আর্টিকেল এর মূল বিষয় হলোবাচ্চাদের প্রসাবের রাস্তায় চুলকানি কেন হয় বিস্তারিত।ত চলুন বাচ্চাদের প্রসাবের রাস্তায় চুলকানি কেন হয় বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

বাচ্চাদের প্রসাবের রাস্তায় চুলকানি কেন হয় বিস্তারিত জানুন
আরো অনেকে হয়তো জানেন না প্রস্রাবে ইনফেকশনের কারণ এবংইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণ।আমার আজকের এই আর্টিকেলে এ সকল বিষয়ে আলোচনা করবো তাই শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

পেজ সূচিপত্রঃবাচ্চাদের প্রসাবের রাস্তাসয় চুলকানি কেন হয় বিস্তারিত জানুন

বাচ্চাদের প্রসাবের রাস্তায় চুলকানি

অনেকে জানতে চান বাচ্চাদের প্রসাবের রাস্তায় চুলকানি কেন হয়।তাই আমি আজকে আপনাদের জানাবো বাচ্চাদের প্রসাবের রাস্তায় চুলকানি কেন হয়।ত চলুন বিস্তারিত জেনেনি।পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ।আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন মানুষকে সবাই ভালোবাসে।তাহলে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন আমাদের বেঁচে থাকার জন্য নিজেকে পরিষ্কার রাখা কতটা জরুরি।আর বাচ্চাদের জন্য ত আরো বেশি জরুরি।কেননা তারা নিজেরা তখন নিজের শরীরের যত্ন নিতে পারে না।
তাই তারা বেশি অসুস্থ হয়ে পরে।তার ভেতরে বাচ্চাদের প্রসাবের রাস্তায় চুলকানি এটা অনেক দেখা যায়।এটার কারণ বাচ্চাদের প্রসাবের রাস্তাটা অপরিষ্কার থাকার কারণে সেখানে জীবাণু জমে থাকে।আর সেখান থেকে চুলকানি শুরু হয়।তাই আমাদের সকলের উচিত আমরা নিজেরা সবসময় পরিষ্কার থাকবো এবং আমাদের বাচ্চাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখব।

প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানি হলে কি করনীয়

আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। পানি খেলে প্রসাবের একটা ফ্লো থাকবে এই ফ্লোটা যখন থাকবে তখন ব্যাকটেরিয়া কিন্তু আপনার প্রসাবের রাস্তায় বসতে পারবে না অর্থাৎ ছেলে আপনার সারভাইভ করতে পারবেনা। যার কারনে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। আপনার পোশাবের চাপ আসলে আপনাকে সঙ্গে সঙ্গে পোশাব করতে হবে।

একটা গবেষণায় বলা হয়েছে আপনি যদি ২০ মিনিট পোশাব ধরে রাখেন তাহলে আপনার ব্যাকটেরিয়ার যে ইনফেকশনটা দ্বিগুণ হয়ে যাবে।আপনাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে হবে। আপনারা এসিডির খাবার গুলো খেলে ব্যাকটেরিয়া তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। আপনাকে প্রোবায়োটিক খাবার বেশি করে খেতে হবে। আপনাকে সবসময়ই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।

প্রস্রাবে ইনফেকশনের কারণ

প্রসাবে ইনফেকশন এই রোগটা মেয়েদের একটু বেশি হয়। কারণ মেয়েরা পানি কম খেয়ে থাকে। কারণ তাদের বাইরে যখন কাজ থাকে তারা মনে করে যে সে ধরনের সিচুয়েশন না পেলে প্রস্রাব করতে সমস্যা হবে এজন্য তারা পানি কম খেয়ে থাকে বা পানি কম খাওয়ার পরে তাদের ইউরিনে বা প্রসাবে চাপ আসলে ধরে রাখার প্রবণতা অনেক বেশি।এছাড়া কিছু রোগ যেমন ডায়াবেটিক্স বা প্রস্রাবের যে রাস্তা এটাতে যদি পাথর থাকে বা স্তন থাকে এবং প্রস্রাবের রাস্তায় যদি স্টিকচার অথবা প্রসাবের রাস্তা কোন কারনে যদি চিকন হয়ে যায়।
কোন ইনজুরির কারণে প্রসাবের রাস্তায় ক্যাথোটার করা লাগে সেক্ষেত্রে কিন্তু এই প্রসাবে ইনফেকশনের চান্স অনেক বেশি হয়ে থাকে। বার বার প্রস্রাব করা। প্রসাব করে আসার পর আবার প্রসাব লাগা এটা প্রসাবে ইনফেকশনের কারণ। তলপেটে তীব্র ব্যথা। প্রসাব কিলিয়ার না হওয়া। এছাড়া প্রস্তাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হতে পারে। এমন কি প্রস্রাব থেকে দুর্গন্ধ এবং প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে রক্ত আসতে পারে। এছাড়া জ্বর কোমরে ব্যথা তীব্র মাথাব্যথা বা বমি বমি ভাব এবং বমি হতে পারে। কারো ভেতর যদি এই উপসর্গগুলো থাকে তাহলে কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এগুলো হলো প্রস্তাবের ইনফেকশনের লক্ষণ।

ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণ

ইউরিনের ইনফেকশন এক ধরনের জীবাণু ঘটিত রোগ। বাচ্চাদের যত ধরনের জীবাণু ঘটিত রোগ এর এটা তৃতীয় কমন। এই ইনফেকশন হলে কি কি রোগ হতে পারে। এখন ইনফেকশনটা কোথায় হয়। ইনফেকশন কিডনিতে হতে পারে মুদ্র থলিতে হতে পারে। এখন কিডনিতে যদি ইনফেকশন হয় এটা সাধারণত পায়ারণ অ্যাপ্লাইটিক রোগ।
পায়ারণ অ্যাপ্লাইটিক রোগের লক্ষণ বাচ্চার জ্বর থাকবে, পেটে ব্যথা থাকবে, অনেক সময় বমি বমি লাগতে পারে, এবং ঘন ঘন প্রস্রাব হবে প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হবে। অনেক সময় দেখা যায় যে আমরা ঠিকমত ডায়গোলাসিস করতে না পারি বা কোন কারনে যদি দেরি হয়ে যায় বা কিডনিতে ঘা বা স্টার তৈরি হয়ে যায় তাহলে ভবিষ্যতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত দেখা দিতে পারে।

শেষকথা-বাচ্চাদের প্রসাবের রাস্তায় চুলকানি কেন হয় বিস্তারিত

আজকে আমি আপনাদের বাচ্চাদের প্রস্রাবের রাস্তার চুলকানির কিছু ঘরোয়া টিপস দেব। আপনারা একটি কাপড়ের টুকরো কুসুম কুসুম গরম পানিতে চুবিয়ে সেই গরম ভাবটা দেবেন। অতিরিক্ত গরম না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সেটা আপনি দিবেন আপনার বাচ্চা দিনে দুইবার বা তিনবার করে গরম সেক দিন তাহলে অনেক আরাম পাবে। 
আপনার বাচ্চার লাল লাল কিছু রেস হচ্ছে বা চুলকাচ্ছে আমি বলি একুনেট প্লাস ক্রিম দুবেলা করে ওই প্রস্রাবের রাস্তায় বা যৌনাঙ্গে একটু হাতটা ধুয়ে অবশ্যই আপনার বাবুর ওখানে লাগিয়ে দিন দুবেলা করে লাগাবেন আর গরম সেক দিন আমি নিশ্চিত আপনার বাবুর এই সমস্যাটা অনেকটাই উন্নতি হবে।

Leave a Comment