বিষহীন সাপের কামড়ের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন 6

প্রিয় পাঠক আপনি কি বিষহীন সাপের কামড়ের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তাহলে আমার আজকের এই আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন। আমার আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের কাছে আলোচনা করবো বিষহীন সাপের কামড়ের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত। ত চলুন আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে শুরু করা যাক।

সাপে কামড়ালে প্রাথমিক চিকিৎসা
আমার এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আরো জানতে পারবেন বিষহীন সাপ কামড়ালে কি হয় এবং  চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত। তাই শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো।

পেজ সূচিপত্রঃবিষহীন সাপের কামড়ের লক্ষণ

বিষহীন সাপের কামড়ের লক্ষণ

সঙ্গে সঙ্গে জায়গাটায় প্রচন্ড জ্বালা যন্ত্রণা হবে এবং জায়গাটা ফুলে যাবে। যদি বিষাক্ত সাপ কামড় দেয় তাহলে দেখবেন সেখানে দুটো দাঁতের দাগ থাকবে। সেটা দূরত্ব হবে ১ থেকে ১.৫ সেন্টিমিটার এরকম হয়ে থাকে। যে জায়গাতে বিষাক্ত সাপ কামড় দিয়েছে সেখানে রক্ত জমাট বেঁধে থাকবে। বা জায়গাটা হঠাৎ করে ফুলে যাচ্ছে বা অসার হয়ে আছে।
অসার বলতে সেই জায়গাটার অনুভূতি কমে যাচ্ছে বা আপনার কাছে মনে হবে আপনার হাড় ভেঙে যাচ্ছে । বিষাক্ত সাপে কামড় দিলে বুঝতে পারবেন আপনার কথাটি দুইটা প্রতিফলন হচ্ছে। এবং আপনি ঘাড় সোজা করে রাখতে পারবেন না চোখে ঝাপসা দেখা শুরু করবেন। বেশি বেশি থুতু আশা শুরু হবে এবং শরীরে বেশি বেশি ঘাম হবে এই ধরনের উপসর্গ বিষাক্ত সাপ কামড় দিলে দেখা যাবে।

সাপে কামড়ালে করণীয়

আপনার কাছে যদি গামছা বা ওলনা থাকে তাহলে যেখানে সাপে কামড় দিয়েছে এর একটু উপরে আপনি সেখানে বেঁধে ফেলবেন। আপনি খুব বেশি জোরে বাঁধ দিবেন না আবার হালকা করে বাঁধ দিবেন না মোটামুটি মিডিয়াম সাইজের বাঁধ দেবেন। এবং ওই বাঁধ দেওয়ার একটু উপরে বা এক বিদ্যা ওপরে আরেকটা বাঁধ দিবেন।
মনে রাখবেন যখন আপনার পায়ে কামড় দিবে তখন হাটা চলাচল করা যাবে না এবং দৌড় দেওয়া যাবে না। কারণ আপনার ওই বিষাক্ত রক্তটা হৃদপিণ্ড পর্যন্ত চলে আসবে এজন্য আপনি চলাচল করবেন না। সাপে কামড়ালে সাধারণত এই করণীয় গুলো আমরা করতে পারি।

বিষহীন সাপ কামড়ালে কি হয়

ক্ষতস্থান থেকে তাজা গাড়ো লাল রক্ত চুইয়ে পড়বে। কিছুক্ষণের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধবে। জ্বালা করতে পারে তবে ফুলবে না। কোন যন্ত্রণা হবে না জ্বালা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। ভয়ে কাপতে পারে তবে তা সামান্যই। রোগী ঝিমিয়ে পড়বে না খিচুনি আসবে না। রোগীকে সব সময় শান্ত রাখুন। তাকে বলুন যে, বেশির ভাগ কামড় বিষহীন সাপের দ্বারা হয়।
 
 
এমনকি বিষধর সাপও সব সময় মরণ মাত্রায় বিষ ঢালে না। বলুন যে বিষধর সাপের কামড়ের আধুনিক চিকিৎসা আছে। চিকিৎসায় সে সুস্থ হয়ে যাবে। রোগীকে দুর্ঘটনা স্থল থেকে সরিয়ে দিন। যে জায়গায় কামড় দিয়েছে তা নিশ্চিত করুন। রোগীকে যত দূরত্ব সম্ভব হসপিটালে নিয়ে যান।

সাপে কামড়ালে প্রাথমিক চিকিৎসা

প্রথমে রোগীকে সাহস প্রদান করতে হবে। সে যদি সাহস না পাই বা ভয় পাই সে এমনি মারা যাবে। কামড়ানো অংশ কখনো নাড়াচাড়া করা যাবে না। যত বেশি নাড়াচড়া করবেন তত বেশি বিষ ছড়িয়ে পড়বে। আক্রান্ত স্থান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। চিকিৎসকের হাতে ক্ষত আছে কিনা সেদিকে খেয়াল করতে হবে।
না হলে এই সাপের বিষ তার শরীরে ঢুকে যেতে পারে। এবং আপনাকে যেখানে সাপে কামড় মারছে তার একটু উপরে গামছা দিয়ে হালকা করে বেঁধে নিতে হবে। যাতে বিশটা ছড়িয়ে যেতে পারবে না। যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিতে হবে।

চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ের লক্ষণ

এই সাপ কামড়ালে সঙ্গে সঙ্গে তীব্র জ্বালা যন্ত্রণা শুরু হয়। চুষে চুষে রক্ত বের হয়। কামড়ের জায়গা দ্রুত ফুলতে শুরু করে। ক্ষতস্থানের রং চটে যায় জ্বালা যন্ত্রণার অনুভূতি সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। চোখের কোন দাঁতের মাড়ি নাক বা যেকোনো কাটা অংশ থেকে বা থুতুর সঙ্গে বমি পায়খানার সঙ্গে বা মূত্রের সঙ্গে রক্ত আসতে পারে।
 
চোখ লাল হয়ে যায় কোমরের দিকে বা পাজোরের নিচে ব্যথা হয়। সারা শরীর ফুলতে শুরু করে ও মূত্রত্যাগ বন্ধ হয়ে যায়। তাই এরকম অবস্থায় সম্মুখীন হলে রোগীকে দ্রুত অবস্থায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। সঠিক সময় চিকিৎসা না হলে দূরত্ব রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে ও মাংস পচে গলে যেতে শুরু করে ও কিডনি বিকল হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটতে পারে।

শেষকথা-বিষহীন সাপের কামড়ের লক্ষণ

প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষণ পড়ছিলেন বিষহীন সাপের কামড়ের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত। আশা করি আমার আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনার উপকারে আসবে। আপনার যদি আমার এই পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করতে পারেন। আর যদি নতুন কোনো বিষয়ে জানতে চান। তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
কেননা আমার এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন তথ্য প্রযুক্তি,লাইফ স্টাইল, শিক্ষা,স্বাস্থ্য-চিকিৎসা,আইন কানুন, প্রবাসি তথ্য ও ইসলামিক বিষয় নিয়ে বাংলা ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল লেখা হয়। আপনি যদি প্রতিদিন এমন তথ্য পেতে চান তাহলে চোখ রাখুন আমার এই টিপস পাবলিক ওয়েবসাইটে।

Leave a Comment