মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

প্রিয় পাঠক আপনি কি মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান।তাহেল আমার আজকের এই আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন।কেননা আমার আজকের এই আর্টিকেলের মূল বিষয় হলো মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় বিস্তারিত।ত চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় তার বিস্তারিত।

মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়
আরো জানতে পারবেন দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ এবং মাসিক বন্ধ হলে কি সহবাস করা যায়।তাই শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

পেজ সূচিপত্রঃমাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

অনেক মেয়েরা মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় এটা তারা জানে না।তার জন্য অনেক সময় মেয়েরা টেনশন এ থাকে,তাই আমি আজকে আপনাদের জানাবো মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়।ত চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়। দেখা যায় কিছু মহিলাদের এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা যদি প্রেগনেন্সি কাটিয়ে দিয়ে টেস্ট করে তাহলে দেখা যায় যে সে প্রেগন্যান্ট।
কিছু মানুষ আছে ছয় সপ্তাহের মধ্যে আপনার ৬০ ভাগ মায়েদের গর্ভধারণ বোঝা যায় এবং আট সপ্তাহের মধ্যে ৯০ ভাগ মহিলাদের প্রেগনেন্সি অবস্থা বোঝা যায়। যদি দেখেন যে আমার মিন্স হয়ে গেছে সে ক্ষেত্রে বুঝতে পারবেন আমার বাচ্চা নেই।আশা করি বুঝতে পেরেছেন মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় কি না।

দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ

অনেক মেয়েরা গুগলে সার্চ দিয়ে থাকে দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য।তাই আমি আজকে তাদের জন্য আমার এই আর্টিকেল এ জানাবো দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত।ত চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক। মানসিক চাপের ভিতর থাকলে বা অতিরিক্ত কাজ নিলে অনিয়মিত মাসিক দেখা দেয়।অতিরিক্ত ওজন কম হলে সময় মত মাসিক না হতে পারে আবার কিছুদিন বন্ধ থাকতে পারে এরকম হতে পারে।
অনেক সময় জরায়ুতে ছোট ছোট টিউমার দেখা দেয় টিউমারের কারণে অনিয়মিত মাসিক হয়ে থাকে জরায়ু টিউমারে মাসিকের স্বাভাবিক চক্রে বাধা দেয়। শরীরের ওজন অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে অনিয়মিত মাসিক হতে পারে। যেসব মা সন্তানদের বুকের দুধ পান করান তাদের ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে অনিয়মিত মাসিক দেখা দেয়। অনিয়মিত মাসিক দূর করার জন্য স্বাস্থ্য জীবন যাপনে খেয়াল রাখতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। 
পানি পান করতে হবে স্বাভাবিক জীবন যাপনে গুরুত্ব দিতে হবে। মানসিক চাপ উদ্যোগ পরিহার করতে হবে। চিন্তা মুক্ত জীবন যাপন করতে হবে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যায়াম থেকে বিরত থাকতে হবে। হালকা ব্যায়াম করতে হবে, সবুজ শাকসবজি খেতে হবে এবং নিয়মিত ফলমূল খেতে হবে।আশা করি বুঝতে পেরেছেন দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ।

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

প্রিয় পাঠক আপনি কি গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন।তাহলে আমার আজকের এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য।আমি এখন আপনাদের জানাবো গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ।ত চলুন আর কথা না বাড়িয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কোন গুলো। পিরিওড মিস হওয়া। গর্ভধারণের সবচেয়ে প্রচলিত ও তাৎপর্যপূর্ণ লক্ষণ হল পিরিয়ড বা ধুতস্রাবণ বন্ধ হওয়া।
প্রতিমাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে নারীদের পিরিয়ড হয়ে থাকে সাধারণত ২৮ থেকে ৩২ দিন পর পর। যদি ২৮ থেকে ৩২ দিন পর পিরিয়ড না হয় তাহলে হয়তো আপনি গর্ভধারণ করেছেন। যদি আপনি নতুন গর্ভবতী হোন এটা অস্বাভাবিক কিছু নয় কিছু খাবারের প্রতি আপনি অনীহা বোধ করবেন কিংবা আপনার রুচি কমে যাবে। 
এছাড়াও পেট ফাঁপার অনুভূতি হতে পারে যা অনেকটা মাসিক গুরুত্ব পূর্ব লক্ষণের মতো।এটি হয় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে। এছাড়া আরো আপনার ঘন ঘন প্রস্রাব হবে শরীর ক্লান্ত লাগবে স্তনে পরিবর্তন হবে হালকা রক্তপাত বা স্পুটিং হবে বমি বমি ভাব হবে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং মাথা ধরবে।

মাসিক না হলে কি প্রেগন্যান্ট

মাসিক না হলে কি প্রেগন্যান্ট না এই বিষয়ে জানতে চান। তা হলে আমার এই আর্টিকেলটি পড়ুন।তাহলে আপনি খুব ভালো মতো জানতে পারবেন মাসিক না হলে কি প্রেগন্যান্ট।ত চলুন জেনে নেওয়া যাক। গর্ভবতী না হয়েও মাসিক বন্ধ হতে পারে। তবে সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাসিক বন্ধ হয় গর্ভবতী হওয়ার কারণেই। মাসিক বন্ধ হলে বাড়িতে টেস্ট করতে পারেন বা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। প্রাথমিকভাবে স্টিপ দিয়ে পরীক্ষা করলে যদি পজিটিভ ফলাফল আসে তাহলে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়

আপনার যদি মাসিক মিস হয় অর্থাৎ আপনার যে তারিখে মাসিক আসার কথা ছিল সেই তারিখ থেকে এক সপ্তাহ পার হয় তবে সেটা হচ্ছে আপনার প্রেগনেন্সি টেস্ট করার উপযুক্ত সময়। এবং যখন আপনি প্রেগন্যান্সি টেস্ট করবেন যে ইউরিন টি সংগ্রহ করবেন সেটা যেন সকালের প্রথম প্রস্রাব হয়। কারণ প্রথম প্রসাবে কিন্তু বিটিআছে হরমোনের লেভেল বেশি থাকে।

ইউরিন প্রেগনেন্সি টেস্ট করলে সঠিক রেজাল্ট পাবেন নাকি ব্লাড টেস্ট করলে। বিটিআছে যে হরমোন যেটা ব্রণের প্লাস সেন্টার থেকে প্রডিউস হয় সে হরমোনটি কিন্তু প্রডিউস হওয়ার পর ইউরিনে মিশে এবং ব্লাড এর পরিমাণ বাড়তে থাকে।আশা করি বুঝতে পেরেছেন কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়।

মাসিক বন্ধ হলে কি সহবাস করা যায়

হ্যাঁ মাসিক বন্ধ হলে সহবাস করা যাবে। এখানে দুইটি প্রশ্ন এসে যায়, প্রথমত তবে কি স্ত্রীর হায়েজ অবস্থায় স্বামীর চাহিদা পূরণের কোন উপায় নেই। হ্যাঁ আছে, স্ত্রীর হায়েজ অবস্থায় উরু মৈথুন করা যায়। তবে সতর্কতার সাথে যাতে প্রস্রাব বা পায়খানার রাস্তায় সক্ষম না হয়ে থাকে। আরেকটি কথা জেনে রাখা ভালো কোনো ভাবেই মুখ মৈথুন করা সমীচীন নয়।

যে মুখ দ্বারা আল্লাহর কালাম উচ্চারণ করা হয় সেই মুখ দ্বারা গোপনাঙ্গে স্পর্শ করা রুচির কাজ এবং উচিত নয়। দ্বিতীয় যে প্রশ্নটি শোনা যায় বেশি স্ত্রী হায়েজ অবস্থায় স্ত্রী কি তার স্বামীর হস্তমৈথুন করতে পারবে। উত্তর হল হস্তমৈথুন যুবক-যুবতী কারো জন্যই বৈধ নয়। কিন্তু বিশিষ্ট আলেমগণের মতে স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে মৈথন বৈধ।

কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয়

৯০% মহিলার লক্ষণ প্রকাশ পেতে চার মাস সময় লেগে যায়। তবে মাসিক মিস হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে স্টেপ দিয়ে পরীক্ষা করলে প্রেগনেন্সি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। তবে সবচেয়ে কার্যকারী উপায় হল মুত্র পরীক্ষা করার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া। স্টেপ দিয়ে পরীক্ষা করলে অনেক সময় ভুল ফলাফল আসে যদিও সেটার সংখ্যা খুবই কম।

অনেকের মধ্যে একটা প্রশ্ন কাজ করে যে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কতদিন পর বোঝা যায়।সাধারণত মাসিক মিস হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে ৯০% মহিলাদের গর্ভধারণের লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে। অনেকের হয়তো এর আগে বোঝা যেতে পারে। কিন্তু প্রেগনেন্সি সম্পন্ন লক্ষণ প্রকাশ পেতে ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।

মাসিকের আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

মর্নিং সিকনেস কে প্রেগন্যান্সির গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ মনে করা হয়। দিনে বা রাতে যেকোনো সময় এমন হতে পারে। সাধারণত গর্ভধারণের একমাস পর থেকে এই সমস্যা দেখা দেওয়া শুরু হয়। এক্ষেত্রে মহিলারা অস্তিত্ব অনুভব করেন। চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর বমি শুরু হয়। এই সময় astrologer স্তর বৃদ্ধি পাওয়ার সকালে উঠে গা গোলাই বা বমি হয়ে থাকে।

তবে শুধুই যে সকালে বমি হবে, তার কোন মানে নেই। দিনের যে কোন সময় একাধিকবার বমি হতে পারে। পিরিয়ড মিস করার আগে থেকেই প্রথম সপ্তাহে ৮০ শতাংশ মহিলা বমির সমস্যায় ভোগে থাকেন। আবার ৫০ শতাংশ মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় ছয় সপ্তাহ বা তার থেকেই বমি অনুভূত হতে থাকে।

শেষকথা-মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা

প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষণ ছিলেন মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়।আশা করি আমার আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনি বুঝতে পারবেন মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত।আমার এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করতে পারেন।আর নতুন কোনো বিষয়ে জানতে চাইলে আমাদের কমেন্ট করে জানতে পারেন।

আমার এই ওয়েবসাইডে প্রতিদিন তথ্য প্রযুক্তি,লাইফ স্টাইল,শিক্ষা,স্বাস্থ্য-চিকিৎসা,আইন কানুন,প্রবাসি তথ্য ও ইসলামিক বিষয় নিয়ে বাংলা ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল লেখা হয়।এতক্ষণ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 

Leave a Comment