মুসলিম কোর্ট ম্যারেজ এর নমুনা কপি এ সম্পর্কে বিস্তারিত

বিয়ের রেজিস্ট্রেশন ফি টা কত হবে এটা মূলত নির্ভর করে কাবিনের উপর। প্রতি এক হাজার টাকায় দশ টাকা কাবিন দিতে হবে। যেমন যদি 10 হাজার টাকা কাবিন থাকে তাহলে রেজিস্ট্রেশনের জন্য ১০০ টাকা দিলেই হবে। কিন্তু এখানে একটা কথা আছে কাবিনের টাকাটা ১০০ টাকার কম এবং৪ হাজার টাকার বেশি হবে না। যেমন যদি কাবিন থাকে পাঁচ হাজার টাকা তাহলে ওটা রেজিস্ট্রেশন করার জন্য দিতে হবে ১০০ টাকা। আবার যদি কাবিন থাকে ৫০ কোটি টাকা তবু এটা রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ৪০০০ টাকা দিলেই হবে।

যখন একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ এবং নারী আদালতে একটি লটারি পাবলিকের কাছে গিয়ে একটি শপথ নেন, আমরা আজ থেকে আমরা দুজনে স্বামী-স্ত্রী ভাবে বসবাস করবো এবং আমরা একে অপরকে হলফ নামার মধ্য দিয়ে মেনে নিলাম। আমরা দুজন স্বামী স্ত্রী। এটাই শুধু এবং এই হলোপ টা ভবিষ্যতে কোন আইনি জটিলতা এনাইস করে তাহলে দেখানো যায় যে আমরা এরকম একটা শপথ করেছিলাম। তাছাড়া কোর্ট ম্যারেজ কিন্তু আর কিছুই না।

আরো পড়ুনঃগরম পানি পানের উপকারিতা – অপকারিতা 

আর এই হলফ নামাটা এটাই মূলত কোর্ট ম্যারেজ। উপরে লেখা থাকবে যে বিজ্ঞ লটারি পাবলিক এর কার্যালয় ঢাকা। এবং তারপরে ছেলের সম্পন্ন ঘটনা থাকবে এবং মেয়ের সম্পন্ন ঘটনা থাকবে এবং তারপর লেখা শুরু হবে সে হলফ নামাটা যে আমরা পরম করুনাময় আল্লাহর নামে শপথ করে যে আমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলাম। এবং ভবিষ্যতেও আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে থাকবো এবং আজ থেকে আমরা স্বামী-স্ত্রী হলাম।

 কোটে বিয়ে করতে ছেলের বয়স হতে হবে ২১ বছর এবং মেয়ের বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। বয়স প্রমাণের জন্য উভয়ের ভোটার আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন সনদ বা রেজিস্ট্রেশন কার্ড বা পাসপোর্ট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের দরকার হবে। উভয়ের দুই কপি করে পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে। ছেলের পক্ষে দুইজন এবং মেয়ের পক্ষে দুইজন সাক্ষী লাগবে। আদালত পাড়ায় সরকার অনুমোদিত কাজী রয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার জন্য আইনজীবী সাহেব এরকম একজন কাজী কে নিজ চেম্বারে ডেকে পাঠাবেন।

কাজী সাহেব বিবাহ নিবন্ধন বই সহ হাজির হয়ে শরীয়ত মোতাবেক উপস্থিতি সাক্ষী গানের মোকাবেলায় নব দম্পত্তির বিয়ে পড়াবেন। বিয়ের কাজ সম্পন্ন হলে কাজী সাহেব একটি স্লিপ নব দম্পতিকে দিয়ে দিবেন এবং বলে দিবেন যে কবে নাগাদ নিকা নামাটা পাওয়া যাবে। মনে রাখবেন এই নিকা নামাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোন অবস্থাতেই এই নিকা নামাটি হারাবেন না। এটা আপনাদের বিয়ের বৈধ দলিল।

কোর্ট ম্যারেজ করার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার পারিবারিক আইন অনুযায়ী ধর্মীয় নিয়ম কানুন মেনে বিয়ে সম্পন্ন করতে হবে। আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে কাজী অফিসে গিয়ে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে এবং আরো অন্যান্য যেসব নিয়ম কানুন রয়েছে সেগুলো মেনে আপনাকে বিয়ে সম্পন্ন করতে হবে। বিয়ে সম্পন্ন করার পর আদালত বা কোর্টে গিয়ে একজন লয়ারের মাধ্যমে হলফ নামাটি ২০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে গিয়ে হলফনামা করতে হয়।

বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের খরচ মূলত কাবিনের উপর নির্ধারণ করা হয়।কাজী অফিসে বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে প্রতি লাখে ১৪০০ টাকা খরচ হবে। এবং আপনি যদি দুই লাখ টাকার কাবিন করেন তাহলে আপনার 2800 টাকা খরচ হবে। আপনি যদি ৩ লাখ টাকা কাবিন করেন তাহলে আপনার ৪২০০ টাকা খরচ হবে। এবং ৫ লক্ষ টাকার উপরে দেনমোহর ধার্য করিলে পরবর্তী প্রতি লাখে একশ টাকা করে বেড়ে যাবে। আর যিনি বিয়ে পড়াবেন তাকে আপনি খুশি মনে ৫০০ টাকা কিংবা এক হাজার টাকা দিতে হবে।