শিশুদের বদনজর থেকে রক্ষার দোয়া বিস্তারিত জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আপনি কি শিশুদের বদনজর থেকে রক্ষার দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন।তাহলে আমার আজকের এই আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন। কেননা আমার আজকের এই আর্টিকেল এর মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে শিশুদের বদনজর থেকে রক্ষার দোয়া এই সম্পর্কে বিস্তারিত।ত চলনা আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

শিশুদের বদনজর থেকে রক্ষার দোয়া বিস্তারিত জেনে নিন
আমার এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আরো জানতে পারবেন কুদৃষ্টি থেকে বাঁচার উপায় এবং মুখ দোষের পানি পড়ার দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত। তাই শেষ পর্যন্ত করার জন্য অনুরোধ রইল।

পেজ সূচিপত্রঃশিশুদের বদনজর থেকে রক্ষার দোয়া

শিশুদের বদনজর থেকে রক্ষার দোয়া

আমাদের সমাজে কুদৃষ্টি দেখার মানুষ অনেক রয়েছে। চতারা মাঝে অনেকেই শিশুদের বদনজর দেয়।তবে আপনি কি জানেন শিশুদের বদনজর থেকে রক্ষার করা যায় কিভাবে কিংবা কি করে এমন বদ নজর আপনার শিশুকে দূরে রাখবেন। তাই আমি আজকের আপনাদের জানাবো শিশুদের বদনজর থেকে রক্ষার দোয়া এ সম্পর্কে বিস্তারিত।আমাদের মহানবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি হযরত হাসান এর জন্য এবং হযরত হুসাইন (রঃ) এর জন্য মহান আল্লাহর কাছে একটি দোয়া পড়ে আশ্রয় পার্থণা করতেন।
দোয়াটি হলোঃ উয়িযু কুমা বিকালিমা তিল্লাহিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিন ওয়া হাম্মা তিন ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মা তিন।যার অর্থ হলোঃ সকল  খারাপ বা শয়তান, কীটপতঙ্গ এবং বদনজর থেকে তোমাদেরকে আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালেমা সমূহের আশ্রয়ে দিচ্ছি। (কানজুল উম্মাল)আশা করি বুঝতে পেরেছেন শিশুদের বদনজর থেকে রক্ষার দোয়া কোনটা।আরো কিছু বিষয়ে আজকে আপনাদের কাছে শেয়ার করবো। তাই শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।

নজর না লাগার দোয়া

বদনজর অনেকটা খারাপ জিনিস। এটা নিয়ে হয়তো অনেকের ভালো মতো জানা নেই। তবে যাদের জানা আছে তারা এটাতে অনেক মানুষের ক্ষতি করতে পারে।তাই আপনার যদি নজর না লাগার দোয়া জানা থাকে তাহলে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন কতটা উপকার হবে। তাছাড়া আপনার আর টেনশন থাকবে না তখন আর কেও আপনাকে কিংবা আপনার পরিবারকে কেও বদনজর লাগাতে পারবে না।ত চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক নজর না লাগার দোয়া।
নজর না লাগার দোয়াটি হলোঃ বিসমিল্লাহি আরকিকা মিন কুল্লি শাইয়িন ইয়ুযিকা, ওয়া মিন কুল্লি আইনিন ও ওয়া হাসিদিন আল্লাহু ইয়া শফিকা বিসমিল্লাহি আরকিকা। এর অর্থ হলোঃ সকল খারাপ এবং শয়তান, কীটপতঙ্গ ও বদ নজর হতে তোমাদেরকে আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালেমা সমূহের আশ্রয়ে দিচ্ছি । (কানজুল উম্মাল ) আশা করি বুঝতে পেরেছেন নজর না লাগার দোয়া।

কুদৃষ্টি থেকে বাঁচার উপায়

প্রিয় পাঠক আপনাদের ভেতরে অনেকেই গুগলে সার্চ দিয়ে থাকেন কুদৃষ্টি থেকে বাঁচার উপায়।তাই আমি আজকে আপনাদের জানাবো কুদৃষ্টি থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ত চলুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক কুদৃষ্টি থেকে বাঁচার উপায় বিস্তারিত। আমরা সবসময় আল্লাহর ওপরে ভরসা রাখবো। তারপরে যদি কেও আপনার ওপরে কুদৃষ্টি দিয়ে থাকে। তাহলে আপনি তখনি অযু করে নিবেন।
অযু করা হলে অযু করার শেষে অযুর পানি রেখে যে আপনাকে কুদৃষ্টি দিয়েছে তার গায়ে ছিটায় দিবেন আর সুযোগ হলে গোশল করে নিবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কুদৃষ্টি থেকে বাঁচার উপায়। সবশেষে আপনাকে একটা কথা বলবো আল্লাহ সর্বশক্তি মান। আপনি আল্লাহর ওপরে বিশ্বাস রাখবেন। আপনার সব কুদৃষ্টি থেকে রক্ষা পাবেন।

নজর লাগলে কি করতে হয়

আমার আজকের এই আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় হলো শিশুদের বদনজর থেকে রক্ষার দোয়া।আশা করি এই বিষয়ে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। এখন আপনাদের জানাবো নজর লাগলে কি করতে হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত। আমাদের সমাজে চলার মাঝে অনেক অসুবিধাতে পড়তে হয়। তবে আমাদের সমাজে অনেক মানুষ রয়েছে যারা অনেকে সময় নজর লাগিয়ে দেয়।
তাই এটা থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য আপনাকে ওযু করে নিতে হবে। আপনি যদি বুঝতে পারেন আপনাকে কেও নজর লাগিয়েছে। তখন আপনি ওযু করে নিবেন।ওযুর পানি রেখে যে আপনাকে নজর দিয়েছে তার গায়ে ছিটিয়ে দিবেন। আর যদি পারেন তাহলে গোশল করে নিবেন।আশা করি বুঝেতে পেরেছেন নজর লাগলে কি করতে হয় হয়।

মুখ দোষের পানি পড়ার দোয়া

আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন মুখ দোষের পানি পড়ার দোয়া কোনটা। তবে তাদের জানা নেই সঠিক তথ্য।তাই আমি আজকে আপনাদের মাঝে আলোচনা করবো মুখ দোষের পানি পড়ার দোয়া নিয়ে বিস্তারিত।রাসূলে করিম (সা) আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত একটি দোয়া রয়েছে মুখ দোষ থেকে বাঁচার জন্য এই দোয়াটি রাসূলে কারিম(সা) আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করতেন।
তিরমিজি শরীফের ২০০৭ নাম্বার হাদিসে রাসূলে কারীম(সাঃ)থেকে বর্ণিত আছে রাসূলে কারীম (সাঃ)হযরত হাসান এবং হুসাইন রাদিয়াল্লাহুতালা আনহু মার জন্য মুখ দোষ থেকে বাঁচতে এ দোয়াটি পড়তেন।দোয়াটির অর্থ আমি তোমাদের উভয়ের উদ্দেশ্যে আল্লাহ তায়ালার পরিপূর্ণ কল্যাণময় কালামের মাধ্যমে প্রতিটি শয়তান জীবননাশক বিষ ও অনিষ্ঠকারী কু -দৃষ্টি হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
এই দোয়াটি রাসূলে কারীম(সা) আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করে হযরত হাসান এবং হোসাইন যেন মুখ দোষ থেকে বা শয়তান থেকে মুক্ত থাকেন বা হেফাজতে থাকেন এই দোয়াটি পাঠ করে রাসূলে কারীম(সাঃ)আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন।আশা করি বুঝতে পেরেছেন মুখ দোষের পানি পড়ার দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত।

শেষকথা-শিশুদের বদনজর থেকে রক্ষার দোয়া

প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষণ পড়ছিলেন শিশুদের বদনজর থেকে রক্ষার দোয়া।আশা করি আমার আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার উপকারে আসবে। আমার এই পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করতে পারেন।আর যদি নতুন কোনো বিষয়ে তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
আমার এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন তথ্য প্রযুক্তি,লাইফ স্টাইল, শিক্ষা,স্বাস্থ্য-চিকিৎসা,আইন কানুন,প্রবাসি তথ্য ও ইসলামিক বিষয়ে নিয়ে বাংলা ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল লেখা হয়। এতক্ষণ আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment