কোরবানি ঈদের দিনে করনীয় কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক আমাদের মুসলিমদের সবচেয়ে আনন্দময় উৎসব হলো ঈদ।প্রতি বছর আমারা দুটি ঈদ পালণ করা হয় অনেক আনন্দর সাথে।তার মধ্যে একটি হলো কোরবানির ঈদ।আমাদের অনেকেরই হয়তো সঠিকভাবে ইসলামের বিধি বিধান অনুযায়ী জানা নেই কোরবানি ঈদের দিনে করনীয় কি।সেজন্য আজকে আমার এই আর্টিকেলটি মূল আলোচ্য বিষয় হলো কোরবানি ঈদের দিনে করনীয় কি।
কোরবানি ঈদের দিনে করনীয় কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আপনি যদি আমার এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন আশা করছি কোরবানি ঈদের দিনে করনীয় কি  সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।তো চলুন কোরবানি বড় বড়কোরবানি ঈদের দিনে করনীয় কি  এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যায়।

সূচিপত্রঃকোরবানি ঈদের দিনে করনীয় কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

কোরবানি ঈদের দিনে করনীয় ২০২৩

প্রিয় পাঠক ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ, আর কোরবানি ঈদ হলো আত্মত্যাগ করা। কোরবানি হল সেই বস্তু যার মাধ্যম দিয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।আল্লাহর কাছ থেকে তাকওয়া অর্জন করা যায়।ঈদের চাঁদ দেখার পরে আমরা তাকবির শুরু করব।কোরবানি ঈদের দিন দিনে করনীয় মধ্যে প্রথমে যেটি হলো ঈদের দিন ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা।এর পরে মেসওয়াক করা, গোসল করা, আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেছেন,আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে উত্তমরূপে গোসল করতেন।(মুয়াত্তা ইমাম মালিক)।
গোসল করা শেষ হলে নিজ স্বার্থ মত নতুন পোশাক বা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক পড়ে, আতর সুরমা লাগিয়ে নামাজের উদ্দেশ্যে ঈদগাহের দিকে রওনা দেওয়া।তবে এখানে একটি বিষয় রয়েছে তা হলো আমরা ঈদুল ফিতরের নামাজে যাওয়ার আগে কিছু মিষ্টান্ন খাবার খেয়ে যায়। এটি হলো মুস্তাহাব।তবে কোরবানির ঈদে এটা মুস্তাহাব নয়, নামাজ শেষ করে কোরবানির গোশত প্রথমে খাওয়া মুস্তাহাব।সেজন্য বলা যায় নামাজের আগে কিছু না খাওয়াই উত্তম। ঈদ গাহে  যাওয়ার সময় এক রাস্তা দিয়ে যাবেন। দিয়ে হাঁটার সময় তাকবীর দিতে দিতে যাব। তাকবীর টি হলোঃআল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।আসার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে বাসায় আসবেন।কোরবানি করা ওয়াজিব যে কুরআনের নির্দেশ রয়েছে।      

২০২৩ সালের ঈদুল আযহা কত তারিখে

প্রিয় পাঠক যে অনেকেরই জানার ইচ্ছে  ২০২৩ সালে ঈদুল আযহা কত তারিখে।তাই আমার আজকের এই আর্টিকেলটি মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে ২৩ সালের ঈদুল আযহা কত তারিখে।ত চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।জুন মাসের ২৮ তারিখ হচ্ছে ১০ই জিলহজ্জ।সে অনুসারে সৌদি আরবের ২০২৩ সালে ২৮ শে জুন অর্থাৎ ২৮ তারিখে সৌদি আরবে ঈদ হবে। যেহেতু সৌদি আরবে আগে ঈদ হয় সুতরাং আমাদের বাংলাদেশের জুন মাসের ২৯ তারিখে বৃহস্পতিবার চাঁদ দেখা গেলে ঈদ হবে ইনশাল্লাহ।(যদিও এটি চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল)

ঈদুল আজহা কত তারিখে ২০২৩

অনেক সময় অনেক মানুষ গুগলে সার্চ দিয়ে থাকেন ঈদুল আযহা কত তারিখে ২০২৩ তাদের জন্য আজকে আমার এই আর্টিকেল অনেক উপকৃত হবে।এ আর্টিকেলটি আপনি খুব ভাল মত জানতে পারবেন ঈদুল আজহা কত তারিখে ২০২৩ সালে।জুন মাসের ২৮ তারিখ হচ্ছে ১০ই জিলহজ্জ।সে অনুসারে সৌদি আরবের ২০২৩ সালে ২৮ শে জুন অর্থাৎ ২৮ তারিখে সৌদি আরবে ঈদ হবে। যেহেতু সৌদি আরবে আগে ঈদ হয় সুতরাং আমাদের বাংলাদেশের জুন মাসের ২৯ তারিখে বৃহস্পতিবার চাঁদ দেখা গেলে ঈদ হবে ইনশাল্লাহ।(যদিও এটি চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল)

ঈদুল আযহা ২০২৩

ঈদুল আযহা হলো আত্মত্যাগের উৎসব।ঈদুল আযহার দিনে একটি মুসলমান ফজরের আযানের পর জামাতের সাথে নামাজ আদায় করে।গোসল করে,পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও নতুন জামা পরিধান করে,আতর সুরমা লাগিয়ে,তাকবীর দিতে দিতে রাস্তা দিয়ে ঈদের নামাজের উদ্দেশ্যে ঈদগাহের দিকে যাওয়া নামাজ শেষ করে,কবর জিয়ারত করে,নিজের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী গরু,ছাগল,উট,মহিষ,ভেড়া,আল্লাহর নামে কোরবানি করা।
এ কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর কাছকাছে থেকে তাকওয়া অর্জন করা যায়।ঈদুল আযহার গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম।(সূরা কাওছার ০২)আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ”তুমি তোমার প্রতি পালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করো এবং কোরবানি করো” আল্লাহর জন্য আল্লাহকে খুশি করার জন্য মানুষ তার সবচেয়ে কাছে প্রিয় বস্তুটি উৎসর্গ করতে কিংবা মায়া ত্যাগ করতে রাজি আছেন কিনা এটার পরীক্ষা।আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে এই ইবাদতটি করার তফিক দান করুন।

কোরবানি ঈদের নামাজের নিয়ম

ঈদের নামাজ ২রাকাত ওয়াজিব যা জামাআতের সাথে আদায় করতে হয়।নামাজের সাথে অতিরিক্ত ৬টা তাকবির দিতে হয়।নামাজের জন্য আমাদের প্রথমে নিয়ত করতে হবে।আপনি চাইলে বাংলাতে পড়তে পারেন।হে আল্লাহ আমি কেবলা মুখি হয়ে প্রবিত্র ঈদুল আযহার ২ রাকাত নামাজ ৬ তাকবিরে সহিত আদায় করতেছি।এর পর আপনি সানা পড়বেন।তারপর সূরা ফাতিহা না পড়ে ৩ তাকবির দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃচুল ঝরে পড়ার কারণ কি-চুল কেন ঝরে

তারপর সূরা ফাতিহা পড়বেন।এর পর আপনি একটা সূরা মিলিয়ে পড়বেনে।এর পর রুকু করবেন তারপর সেজদা দিবেন।এবার উঠে সূরা ফাতিহা পড়ে অন্য একটি সূরা মিলিয়ে পড়বেন।তারপর তাকবির দিবেন ৩টি তারপর রুকু তাকবির দিয়ে রুকু দিবেন।তারপর সিজদা দিবেন। এর পর বসে আত্তাহিয়াতু,দরুদ শরীফ,দোয়া মা সূরা,এর পর সালাম ফিরবেন।

শেষকথা-কোরবানি ঈদের দিনে করনীয় কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক আপনি এতক্ষন পড়ছিলেন কোরবানি ঈদের দিনে করনীয় কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত।ত চলুন আর এক পলকে জেনে নেওয়া যাক আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন কোন বিষয় গুলো জানলেন কোরবানি ঈদের দিনে করনীয় কি,২০২৩ সালের ঈদুল আযহা কত তারিখে,ঈদুল আজহা কত তারিখে ২০২৩,ঈদুল আযহা ২০২৩,কোরবানি ঈদের নামাজের নিয়ম 
আপনি যদি প্রতিদিন নতুন নতুন ইসলামিক বিষয় তথ্য জানতে চান তাহলে আমার এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন।কেননা আমার এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি,লাইফ স্টাইল,শিক্ষা,স্বাস্থ,চিকিৎসা ও ইসলামিক বিষয় নিয়ে বাংলা ব্লগ পোস্ট লিখা হয়।প্রতি দিন আপনাদের কাছে নতুন নতুন সঠিক সত্য দেওয়ার চেষ্টা করি।এতক্ষন আমার এই পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment