প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকে গুগলে সার্চ দিয়ে থাকেন মুখ দোষের পানি পড়ার দোয়া বিস্তারিত। তো আজকে আমি আপনাদের মুখ দোষের পানি পড়ার দোয়া বিস্তারিত জানাবো। আপনার ও যদি জানার ইচ্ছে থাকে মুখ দোষের পানি পড়ার দোয়া বিস্তারিত তাহলে আমার এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।ত চলুন জেনে নেওয়া যাক মুখ দোষের পানি পড়ার দোয়া বিস্তারিত।
আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আরো জানতে পারবেন বদ নজর থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়। তাই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।
সূচিপত্রঃমুখ দোষের পানি পড়ার দোয়া বিস্তারিত জানুন
- মুখ দোষের পানি পড়ার দোয়া
- বদ নজর থেকে বাচার দোয়া
- বদ নজর থেকে মুক্তির দোয়া
- বদ নজর থেকে বাঁচার উপায়
- বাচ্চাদের বদ নজর কাটানোর দোয়া
- নজর দোষ কাটানোর দোয়া
- নজর না লাগার দোয়া
- শেষকথা-মুখ দোষের পানি পড়ার দোয়া বিস্তারিত জানুন
মুখ দোষের পানি পড়ার দোয়া
রাসূলে করিম (সা) আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত একটি দোয়া রয়েছে মুখ দোষ থেকে বাঁচার জন্য এই দোয়াটি রাসূলে কারিম(সা) আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করতেন। তিরমিজি শরীফের ২০০৭ নাম্বার হাদিসে রাসূলে কারীম(সাঃ)থেকে বর্ণিত আছে রাসূলে কারীম (সাঃ)হযরত হাসান এবং হুসাইন রাদিয়াল্লাহুতালা আনহু মার জন্য মুখ দোষ থেকে বাঁচতে এ দোয়াটি পড়তেন।
দোয়াটির অর্থ আমি তোমাদের উভয়ের উদ্দেশ্যে আল্লাহ তা ‘আলার পরিপূর্ণ কল্যাণময় কালামের মাধ্যমে প্রতিটি শয়তান জীবননাশক বিষ ও অনিষ্ঠকারী কু -দৃষ্টি হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। এই দোয়াটি রাসূলে কারীম(সা) আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করে হযরত হাসান এবং হোসাইন যেন মুখ দোষ থেকে বা শয়তান থেকে মুক্ত থাকেন বা হেফাজতে থাকেন এই দোয়াটি পাঠ করে রাসূলে কারীম(সাঃ)আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন।
বদ নজর থেকে বাচার দোয়া
বদ নজর থেকে বাঁচার উপায় হল আপনি কোন মানুষকে বা যেকোনো কিছু দেখার পর আপনি খুব বেশি অভিভূত হয়ে গেলেন এবং খুব বেশি অভিভূত হয়ে গিয়ে আপনার নজরের মধ্যে রাক্ষসী ভাব চলে এলো এর ফলে ওই ব্যক্তির ক্ষতি হতে পারে। যেটাকে বদনজর বলা হয়। হাদিস দ্বারা এটা প্রমাণিত এবং আমাদের অভিজ্ঞতা দ্বারাও প্রমাণিত। তো এরকম পরিস্থিতিতে আপনার বদ নজর থেকে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য দেখার পর আপনি অভিভূত হয়ে গেলে আপনি আল্লাহর বরকতের কথা বলবেন।
হাদিসে যেটা বলা হয়েছে তার বিবরণ হল এরকম যে এটা দেখার পর আপনি যদি বলেন, তাবারক আল্লাহ-আল্লাহ বরকতময় অর্থাৎ কল্যাণ দেওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন আল্লাহর হাতে অথবা এরকম ভাবে বলতে পারেন মাশাল্লাহ,তাবারক আল্লাহ। সেক্ষেত্রে আপনার বদ নজর দ্বারা ওই ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
বদ নজর থেকে মুক্তির দোয়া
কোন সৃষ্টি কোন কিছু মানুষকে দেখে কেউ খুব বেশি অভিভূত হয়ে রাক্ষসী ভাব নিয়ে দেখলে বা হিংসাতুক দৃষ্টিতে দেখলে এটকে বদ নজর বলা হয়। এই বদ নজরের প্রভাবে বা এই ধরনের দৃষ্টির প্রভাবে ওই ব্যক্তি বা বস্তু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। ইসলাম শরীয়তে সেটা বিশ্বাস করে এবং এর বাস্তবতা রয়েছে। এই বদ নজর যদি কোন ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি কারো হয় তাহলে সেক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কি, বিশেষ কিছু দোয়া এবং কুরআনে কারিম এর আয়াত পাঠ করা। আমাদের সূরা ফালাক এবং সূরা নাস পাঠ করে ফু দিতে হবে। তাহলে আমরা এই বদ নজর থেকে মুক্তি পাবো।
বদ নজর থেকে বাঁচার উপায়
একজন মানুষ সে একটা মন্তব্য করছে এবং তার নজর লাগছে সে খুব আশ্চর্য হয়ে তাকিয়েছে এবং রাক্ষসের মত তাকিয়েছে এরকম মনে হয়েছে ঠিক তখনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাচ্চাদের ব্যাপারে এটা একটু বেশি হয় এবং অন্যদের ব্যাপারে হয়। এই বদ নজর যদি যদি লেগে যায় কথার কথা উনি আমার কোন একটা জিনিস দেখে খুব বেশি অবাক হয়ে আশ্চর্য হয়ে রাক্ষসের মত চাইয়া রয়েছে নজরে হাশেদ বা হিংসুকে নজর দিয়া দেখছে তখন এর মাধ্যমে আমি যদি ক্ষতিগ্রস্ত হই বা আমরা অসুখ হয়ে গেল সুন্নত হল ওই ব্যক্তির কাছ থেকে পানি পড়ে নেওয়া।
বাচ্চাদের বদ নজর কাটানোর দোয়া
প্রিয় দর্শক আজ আমি আপনাদেরকে কোরআন থেকে ছোট একটি দোয়া শিখিয়ে দিব। হযরত হাসান বসরী রাদিয়াল্লাহ বলেছেন যে কারো নিজের ওপর বা মাল সম্পদের উপর বদ নজর লাগার আসংকা থাকলে এই আয়াতটি তিনবার পড়ে ফু দিবে। তো চলুন তাহলে দেরি না করে দোয়াটি শিখে নেওয়া যায়। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, ওয়া ইয়াকা-দুল লাজিনা কাফারু লাইউযুলিকুনাকা বিআবছা- রিহিম লাম্মা -সামিউয জিকরা ওয়া ইয়াকুলুনা ইন্নাহু লামাজনুন ওয়া ইয়াকুলুনা ইন্নাহু লামাজনুন।
নজর দোষ কাটানোর দোয়া
আমরা অনেকেই বদ নজর দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকি। বিশেষ করে আপনাদের ছেলে সন্তান ছোট ভাই বোন তাদের ওপর অনেকেই বদ নজর করে থাকেন। তাদের বদ নজর লাগার কারণে আমাদের ছোট ছোট সোনামণি গুলো বদ নজরের কারণে খাবার খেতে চাই না ভালোভাবে ঘুমাতে চাই না শরীর অসুস্থ হয়ে যায়। এজন্য আমরা কবিরাজের কাছে দৌড়াই ডাক্তারের কাছে দৌড়ায় কিন্তু আমরা জানি না পবিত্র কুরআনুল কারিমের মধ্যে এমন একটি আয়াত আছে।
এই আয়াতটি যদি আমরা পড়ি যার উপর বদ নজর লেগেছে তার ওপরে আমরা ফু দি এবং পানির মধ্যে এই আয়াতটি পড়ে আমরা ফু দিয়ে এই পানি তাকে খাইয়ে দিয়ে তাহলে তার নজর দোষের সমস্ত প্রকার কিয়া আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কোরআনের বরকত দিয়ে নষ্ট করে দিবে। দোয়াটি হল-ওয়া ইয়াকা দুল্লাজিনা কাফারু লাইউজলিকুনাকা বি আবছারিহিম লাম্মা সামিউজজিকরা ওয়াকুলুনা ইন্নাহু লামাজ নুন।
নজর না লাগার দোয়া
যে হাদিসের মধ্যে আছে আল আইনি হকুন অর্থাৎ চোখ নাগাদ বদ নজর লাগা শব্দ সাথে সাথে অর্থাৎ একজন ভালো মানুষ সুন্দর মানুষ অথবা ভালো জিনিস ইহার মধ্যে অন্য মানুষের নজর লাগলে নষ্ট হয়ে যায় রোগ হয়ে যায় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তো এগুলার জন্য রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম এই দোয়াটি শিখিয়েছেন।
আরো পড়ুনঃশিশুদের বদনজর থেকে রক্ষার দোয়া
ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান হোসেনের জন্য এ দোয়াটি পড়তেন। দোয়াটি হল-আউযুবিকালিমা তিল্লা হিত্তামাতি মিন কুল্লি শায়তানিন ওয়া হাম্মাতিন ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাতিন।
শেষকথা-মুখ দোষের পানি পড়ার দোয়া বিস্তারিত জানুন
প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষন পড়ছিলেন মুখ দোষের পানি পড়ার দোয়া বিস্তারিত।আশা করি আমার আজকের এই পোস্টটি পড়ে মুখ দোষের পানি পড়ার দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পারবেন। আপনি যদি প্রতিদিন নতুন নতুন ইসলামিক বিষয় তথ্য জানতে চান তাহলে আমার এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন।
আরো পড়ুনঃসহজে ওজন বাড়ানো – মোটা হবার উপায়
কেননা আমার এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি, লাইফ, স্টাইল, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ও ইসলামিক বিষয় নিয়ে বাংলা ব্লক পোস্ট লিখা হয়।প্রতিদিন আপনাদের কাছে নতুন নতুন তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করি। এতক্ষণ আমার এই পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।সব শেষে আপনাদের সবার সুস্বাস্থ কামনা করছি।